Published : 28 May 2025, 01:41 AM
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর বিভিন্ন দল ও সংগঠন যখন অবমাননাকর ভাষায় আক্রমণ করল, তখন সরকারের ‘নীরবতা’ দেখে হতাশ হয়েছেন কমিশন প্রধান শিরীন পারভিন হক।
তার ভাষ্য, “মতানৈক্য প্রকাশ করার অধিকার তাদের আছে, তারা করতেই পারে। যেটা তারা করতে পারে না বা করা উচিত হয়নি, সেটা হল- গালিগালাজ।”
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য গীতি আরা নাসরীন রোববার ঐকমত্য কমিশনের মতবিনিময় সভায় বলেছেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, কিন্তু কমিশনকে ‘সরাসরি’ আক্রমণের প্রশ্নে সরকার দৃশ্যত কোনো ভূমিকা রাখেনি। তাতে আশাবাদী হওয়া ‘কঠিন’ ঠেকছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিরীন পারভিন হক বলেন, “আমিও খুব হতাশ। শুধু সরকারের নীরবতা না; অন্যান্য যে কমিশনগুলো আমাদের সাথে আছে- তাদের মধ্য থেকেও খুব একটা আওয়াজ কেউ তোলে নাই।
“আর সবচেয়ে যেটা দুর্ভাগ্যজনক- আমাদের যারা নাকি প্রগতিবাদী পুরুষ, শিক্ষিত প্রগতিবাদী পুরুষ বলে নিজেদের পরিচয় দেন, তারাও নীরব থেকেছে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ইনসাইড আউট’ এ অংশ নিয়ে তরুণদের ভূমিকা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন নারীপক্ষ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন হক।
তিনি মনে করেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশ সরকার মেনে নেবে না। এর কারণ হিসেবে সরকারে ‘সংকীর্ণমনা’, ‘অপ্রগতিশীল’ প্রতিনিধি থাকার কথা বলছেন এই অধিকারকর্মী।
তার কথায়, “আমি তো আর বাইরের খবরটা জানি না। কারণ আমরা দেখলাম যখন হেফাজত বিচ্ছিরি ভাষায় গালিগালাজ করছে এবং বলছে- এটা পুরোটাই বাতিল করে দিতে হবে।… ৪৩৩টার ৩টা নিয়ে তাদের সমস্যা, কিন্তু তারা মনে করছে যে- ৪৩০টাও ফেলে দিতে হবে।
“এগুলো যখন বলেছে, তখন কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাবধানবাণী বা তারা কী মনে করে- সেগুলো নিয়ে কোনো কথা কিন্তু শুনিনি।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নারী সংস্কার কমিশন গত ১৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর থেকেই ধর্মভিত্তিক দলগুলো এর বিরোধিতা করে আসছে।
দেশের ইসলামপন্থিদের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি তুলেছে। জামায়াতে ইসলাম কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন ‘প্রত্যাখ্যান’ করেছে।
ইসলামি উত্তরাধিকার আইন ও ইসলামি পারিবারিক আইন নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ কমিশন দিয়েছে, হেফাজতের আপত্তি মূলত সেই জায়গায়।
আর জামায়াতে ইসলামী কিছু সুপারিশকে ‘গর্হিত’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এসব বিষয় সমাজকে ‘চরম অস্থিতিশীলতার’ দিকে ঠেলে দেবে।
তরুণদের দল এনসিপিও অভিযোগ করেছে, এই সংস্কার কমিশনে সমাজের সব স্তরের নারীর অন্তর্ভুক্তি পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয়নি।
নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে গত ৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। সেখানে একজন বক্তা নারী কমিশনকে ‘বেশ্যা কমিশন’ আখ্যায়িত করেন। আরেকজন বলেন, ‘অবৈধ সন্তানকে স্বীকৃতি দিতে’ কমিশন যৌনকর্মীদের স্বীকৃতির দাবি তুলেছে। পরে অবশ্য ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম।
এ বিষয়ে শিরীন হক বলেন, তাদের সুপারিশ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা হোক, সেটাকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ সুপারিশে এমন অনেকগুলো বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে ‘গত ৫৩ বছরে কোনো আলোচনা হয়নি’।
“এগুলো আলোচনা হওয়া দরকার, এগুলোর মানে জনপরিসরে আসা দরকার, জনপরিসরে এগুলো নিয়ে বিতর্ক হওয়া দরকার- সবকিছুতে তো সবাই একমত হবে না এবং এটা তাদের স্বাধীনতা। মতানৈক্য প্রকাশ করার তাদের অধিকার আছে, তারা করতেই পারে। যেটা তারা করতে পারে না বা করা উচিত হয়নি, সেটা হলো- গালিগালাজ।”
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে-পরে একাধিকবার বলেছেন, সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাধা আসতে পারে। সেই বাধাগুলো মোকাবেলা সহজ নয় বলেও মনে করেন তিনি।
এই আশঙ্কার কারণ কী? শিরীন হক বলেন, “কারণটা আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। সুপারিশ বাস্তবায়নের আগেই উঠে-পড়ে লেগেছে।
“শুধু আমরা মোকাবেলা করলে হবে না। সেখানে বিভিন্ন পরিসরের মানুষকে এটার পক্ষে দাঁড়াতে হবে, সরকারের একটা বিরাট দায়িত্ব আছে- সেগুলো নিয়ে আগাবার ক্ষেত্রে।”
‘তরুণরা কি আমাদের চেয়েও রক্ষণশীল?’
প্রতিবেদন প্রকাশের পর কমিশনের কিছু সুপারিশ ধর্ম ও নারীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি। কমিশনে সমাজের সব অংশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়নি বলেও পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছিল নতুন রাজনৈতিক দলটি।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দলটির অবস্থান প্রসঙ্গে শিরীন পারভিন হক বলেন, “এটা একটু আমাকে অবাকই করেছে যে- এরা, তরুণরা কি আমাদের চেয়েও রক্ষণশীল।
“মানে আমাদের প্রজন্ম যতটা মেয়েদের অগ্রভাগে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে বা মেয়েদের সমান অধিকারের জন্য কাজ করে, সেটা থেকে তারা কি একটু পিছপা? জানি না।”
অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৮ নভেম্বর ‘নারীপক্ষ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে। এই সংখ্যক সদস্য নিয়ে কমিশনে সবশ্রেণির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ‘সম্ভব নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন শিরীন হক।
তিনি বলেন, “একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পারে সেই দাবি করতে, আমরা তো নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধি না। আমরা একটা কমিশন, যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে- নারীদের পক্ষে কী কী সংস্কার প্রস্তাব আমরা করতে পারি।
“তো সেখানে সব ধরনের মানুষের যদি সব শ্রেণি, সব পেশা, সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতা, সবরকম ধর্ম, সবরকম সম্প্রদায়, সবরকমের ভাষার মানুষ- এই সবকিছুর যদি প্রতিনিধিত্ব করতে হয়; ১০ জনের কমিশন করলে হবে না- ১৫০ মানুষ তো লাগবে অন্তত।”
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের হয়রানির যে চিত্র সামনে এসেছে, তাতে নারী বিদ্বেষ বেড়েছে কি না তা বলতে পারেননি নারী সংস্কার বিষয়ক কমিশন প্রধান। তবে এ চিত্র দেখে তার মনে হয়েছে–হয়রানির ঘটনা আগের চেয়ে কমেনি।
নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে এনসিপির কাছে সরব ভূমিকা প্রত্যাশিত ছিল মন্তব্য করে শিরীন হক বলেন, “আমি আশা করেছিলাম, তারা আরও বলিষ্ঠভাবে এই ইস্যুটাকে তুলবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তোলে নাই। সেখানে আমি কিছুটা হতাশ।”
‘যৌনকর্মীদেরও মৌলিক অধিকার আছে’
বর্তমান সংবিধানে গণিকাবৃত্তি নিরোধের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যৌন পেশাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত না করা এবং শ্রম আইন সংশোধন করে যৌনকর্মীদের মর্যাদা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে।
এ বিষয়ে শিরীন পারভিন হক বলেন, এই পেশায় আসতে যারা বাধ্য হয়েছে, তাদের অধিকারের কথা বলেছেন তারা। পেশার কথা না বলে বরং মানুষগুলোর কথা বলেছেন।
“আমার-আপনার মতো তাদেরও মৌলিক অধিকার আছে। তারা নাগরিক এদেশের। তারা কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সমাজে অনেক রকমের অবদান রাখে।
“তারা কিন্তু স্পষ্টভাবে বলেছে, ‘আমরা তো নাগরিক এদেশের, আপনাদের মতই। এবং আমরাও কিন্তু কাজ করেই খাই। আমরা কিন্তু আমাদের দেহ বিক্রি করে খাই। আপনারা লেখাপড়া করেছেন, কিন্তু আমাদেরও সন্তানদেরকে স্কুলে পাঠাতে ইচ্ছা করে’।”
শিরীন হক বলেন, “সুতরাং তারা খুবই দুঃখ পায়- যখন মানুষ বলে, তাদের জন্য ধর্ম গেল, জাতি গেল- এই রব তোলা হয় বা তাদের জানাজা হবে না।
“আমরা চাইছি, এই মানুষগুলোকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। আর এই পেশাটা টিকে আছে কার কারণে? পুরুষদের কারণে। কিন্তু আমরা সবসময় আঙ্গুলটা তুলি সেই নারীর দিকে।”
সম-অধিকার
অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে নারী সংস্কার কমিশন।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে শিরীন হক বলেন, “বাংলাদেশে পারিবারিক আইনটা ধর্মভিত্তিক। সেখানে একেকজন একেক ধর্মের।
“মুসলিম পারিবারিক আইনে মেয়েরা কিন্তু উত্তরাধিকারে একটা ভাগ পায়। হিন্দু পারিবারিক আইনে কিছুই পায় না। তারপর বৌদ্ধ আইন আছে, খ্রিষ্টান আইন আছে; যারা এসব কোনো ধর্মই পালন করে না, তাদের একটা ইয়ে আছে।
“আমরা বলতে চেয়েছি যে, সব নারীর অধিকার- সে যে কোনো ধর্মের হোক, একই রকম হোক- আমরা এটা চাই।”
তবে বিদ্যমান আইন বাতিল হোক তা কমিশন চাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এর কারণ হিসেবে শিরীন হক বলেন, “অনেকেই চাইবে, আগের আইন থাকুক। তবে যারা চায় না, তাদের জন্যও বিকল্প থাকা উচিত।
“যারা ওটা চায়, যারা ওই আইনের অধীনে বসবাস করতে চায়, জীবন-যাপন করতে চায়- করুক। কিন্তু যারা চায় না, তাদের জন্য একটা সিভিল অপশন চালু করা- ঐচ্ছিক। পরিষ্কারভাবে ঐচ্ছিক লেখা আছে।”
কমিশনের প্রতিবেদনে রাষ্ট্রধর্ম, নাগরিকের পরিচিত- এসব বিষয় নিয়েও সুপারিশ এসেছে। তবে কেউ কেউ বলছেন, এসব বিষয়ে সুপারিশ করার এখতিয়ার এই কমিশনের নেই।
কমিশন প্রধান বলেন, “ওই পক্ষ মনে করে রাষ্ট্র, সংবিধান নিয়ে নারীদের কিছু বলার নেই। তারা কেবল নারীদের বিষয়ে কথা বলবে।
“২০২৫ সালে এসে এই ধরনের কথা শোনা, শুনতে হবে- এর চেয়ে দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু নাই।”
বাংলাদেশি নারীর সঙ্গে বিদেশি নাগরিকের বিয়ে হলে ওই বিদেশি যাতে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের অধিকার পায়, সেজন্য বিদ্যমান নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছে শিরীন পারভিন নেতৃত্বাধীন কমিশন।
এর কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দেন, “বাংলাদেশি পুরুষরা কোনো বিদেশি নারীকে বিয়ে করলে ওই নারী খুব সহজে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পায় যায়। তবে নারীদের ক্ষেত্রে উল্টাটা হয় না। আমরা মনে করি, এই দুটোর মধ্যে এই তারতম্যটা থাকা উচিত না।”
স্বাধীন কমিশনে জোর
গেল এপ্রিলে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের দেওয়া ৩১৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৪৩৩টি সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে শ’ দুয়েক সুপারিশ বাস্তবায়ন হলেও নারীরা অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন শিরীন পারভিন হক।
তার কথায়, “কিছু তো সম্ভব (বাস্তবায়ন), সবগুলো হবে- জানি না। সবগুলো একবারে সম্ভব না, রাতারাতি তো পরিবর্তন হবে না। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস সম্ভব এবং সেই প্রক্রিয়াটা শুরু করে দেওয়া সম্ভব। প্রক্রিয়াতেও তো সময় লাগবে।
“এটার জন্য মানুষের মানসিকতা পরিবর্তনের একটা ব্যাপার আছে। সেটা সময়ের ব্যাপার আছে।”
সংস্কার কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে, তার মধ্যে নারীদের জন্য একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র ও স্থায়ী কমিশন গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। এটিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন শিরীন হক।
তিনি বলেন, “এটা (নারী কমিশন) যদি হয়, আমার মনে হয়- একটা ভালো কাজ হবে। কারণ এই কমিশনটার দায়িত্ব হবে তখন নিশ্চিত করা যে, সরকারের বিভিন্ন খাতে নারীদের উন্নতির বিষয়টা, নারীদের সমানাধিকারের বিষয়টা, সমান হিস্যার বিষয়টা।
“এটা হলে আমরা মনে করি নারীদের অধিকার সুরক্ষা সহজ হবে।”
নারীদের কথা বলার পরিসর বাড়াতে প্রস্তাবিত স্থায়ী কমিশনকে বিকেন্দ্রীকরণ করা দরকার বলে মনে করেন শিরীন হক।
তিনি বলেন, “বিকেন্দ্রীকরণ যদি ঠিক মত হয়, তাহলে তৃণমূলের নারীর শটটাও কিন্তু জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত আসবে। আর অন্যান্যভাবেও পরিসর যেন আরও ব্যাপ্তি লাভ করে।
“যেখানে নারীরা চলাফেরা করতে পারবে স্বাধীনভাবে, যেখানে নারীরা কথা বলতে পারবে স্বাধীনভাবে, নারীরা নারীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন নিয়ে কথা বলতে পারবে- সেই জিনিসগুলো আমরা আনার চেষ্টা করেছি।”
স্থায়ী কমিশন গঠন, বিকেন্দ্রীকরণ, জেন্ডার সংবেদনশীল পরিকল্পনা, বাজেট, নারীদের নিরাপত্তার বিষয় এবং সহিংসতা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিশন বেশকিছু সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের সময় বাদ পড়লে তা ‘দুঃখজনক’ হবে বলে মনে করেন শিরীন হক।