Published : 20 May 2025, 12:37 AM
সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের আলোচনা শেষ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন; যাতে অনেকগুলো সুপারিশের বিষয়ে সম্মতি মিললেও ‘মৌলিক সংস্কার’ প্রশ্নে ভিন্ন মত এসেছে।
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের দেড় শতাধিক প্রস্তাব নিয়ে প্রায় দুই মাসের এ সংলাপে দলগুলো তাদের মতামত তুলে ধরে। এতে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিনিধিরা প্রতিদিনের সংলাপের পর তাদের অবস্থানের অনেক কিছুই সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন। তাতে দলগুলোর ভিন্নমত ও ঐকমত্যের বিষয়গুলো সামনে আসে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজও এমন কথা বলেছেন।
সোমবার বিএনপি, গণ অভ্যুত্থানের নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম দফার সংলাপ শেষ হয়।
প্রথম দফা শেষে দেখা যায়, সংলাপে দলগুলোর পক্ষ থেকে বিশেষ করে সংবিধান সংশোধনে মৌলিক প্রস্তাবগুলোয় ভিন্নমত তুলে ধরা হয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমানো, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনসহ বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তনের সুপারিশ করে। এগুলোর বিষয়ে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি।
অন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে একই ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান ও সরকারপ্রধান একই ব্যক্তি না হওয়া, সরকারের মেয়াদ এক বছর কমিয়ে চার বছর করা, রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ, ৭০ অনুচ্ছেদে সংশোধন, নারী আসনে সরাসরি ভোট, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নানা সুপারিশ নিয়ে ভিন্ন মত এসেছে দলগুলোর তরফে।
এর বাইরে অন্তর্বর্তীকালীন বা নির্বাচনকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য থাকলেও এ সরকারের গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দেয়নি দলগুলো।
এমন অবস্থায় দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ভারসাম্য আনাসহ মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো বেশি গুরুত্ব পাবে বলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশনের দিক থেকে বলা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “দু'মাস আগে শুরু হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রথম পর্যায়ের আলোচনার আজকে (সোমবার) সমাপ্তি ঘটেছে৷ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অব্যাহত এই আলোচনায় অনেকগুলো বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি এবং বেশ কিছু বিষয়ে আমাদের ভিন্নমতও রয়েছে৷”
খুব শিগগির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করে যেসব বিষয়ে মত ভিন্নতা রয়েছে তা বিষয়ভিত্তিকভাবে আলোচনা করে দ্রুত জাতীয় সনদ তৈরিতে অগ্রসর হওয়ার কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত সপ্তাহে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘ইনসাইড আউড’ অনুষ্ঠানে প্রথম ধাপের অগ্রগতি নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, অনেক বিষয়ে নীতিগত জায়গা থেকে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে; আবার কিছু কিছু মতপার্থক্য আছে। .
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার অক্টোবরে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে।
পরে সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
ঐকমত্য তৈরির অংশ হিসেবে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে স্প্রেড শিটে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে মতামত নেয় ঐকমত্য কমিশন। যেসব সুপারিশের বিষয়ে দলগুলোর আংশিক একমত বা ভিন্নমত ছিল সেগুলো নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি এ কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে কমিশন।
এতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, নাগরিক ঐক্য, সিপিবি, এলডিপি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা সংলাপে অংশ নেয়।
দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হওয়ার তথ্য দিয়ে কমিশনের সংশ্লিষ্টরা বলেন, কোরবানি ঈদের আগেই তা শুরু হতে পারে। প্রথম পর্যায়ের আলোচনার ফলাফল বিশ্লেষণ করে শিগগির তা শুরু হবে। যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা আছে সেগুলো নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে।
এনসিসি ও নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি
ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ–রাষ্ট্রের এই তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ (এনসিসি) গঠন করার প্রস্তাব ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশনের।
সুপারিশে বলা হয়, প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানদের এবং বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্য এই কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবে। রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দেবেন।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রপতিকে অন্য যেকোনো কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী করতে হয়। এনসিসি গঠন করা হলে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমবে।
তবে এই প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি একমত নয়। এ নিয়ে জোরালো আপত্তি দিয়ে দলটি বলেছে, এই বিধান করা হলে সরকার দুর্বল হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এনসিসি, নতুন ধারণা। এর হাতে সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। এর সঙ্গে আমরা একমত নই।”
নিরপেক্ষ ‘কেয়ারটেকার গর্ভমেন্ট’ এ বিধান রাখা উচিত বলে মনে করে দলটি।
অপরদিকে এনসিসির প্রস্তাবের সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
তবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এ কাউন্সিলে না রাখার পক্ষে জামায়াত।
জামায়াত রাষ্ট্র সংস্কারকে আইনিভাবে বৈধতা দেওয়ার জন্য গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে।
বৈঠক শেষে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের তত্ত্ববধায়ক সরকার গঠন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়, জনপ্রশাসনের জন্য স্থায়ী কমিশনের প্রস্তাব দেওয়ার কথা তুলে ধরেন।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, "মৌলিক সংস্কারের বলতে নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার নয় বা দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কারের মত বিষয়গুলোকে মনে করি না। বরং ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহিতা ও বিকেন্দ্রীকরণ- এ তিন বিষয়কে অর্জন হচ্ছে মৌলিক সংস্কারের মূল ভিত্তি।"
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও মেয়াদ
সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। একই ব্যক্তি একাধারে প্রধানমন্ত্রী, দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না।
এই দুটি প্রস্তাবে এনসিপি একমত হলেও এখনো রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি।
এ দুটি প্রস্তাব নিয়েই আপত্তি আছে বিএনপির। দলটির নেতা সালাউদ্দিন বলেন, “এটা (দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা একই ব্যক্তি) আমরা ওপেন রাখতে বলেছি। অপশনটা পলিটিক্যাল পার্টির রাখা উচিত।”
জামায়াতে ইসলামী অবস্থান হল– একই ব্যক্তি একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান থাকতে পারবেন না। একজন ব্যক্তি সারাজীবনে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।
নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে এনসিপি সংস্কার কমিশনের এই দুটি প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হওয়ার পাশাপাশি বিরোধী দল ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারবে–এমন বিধান করার প্রস্তাব দিয়েছে।
৭০ অনুচ্ছেদে সংস্কার
বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। তাতে বলা আছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন বা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে।
এখানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সুপারিশ এসেছে। তা হল- অর্থবিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে।
সংস্কার কমিশনের এ প্রস্তাব নিয়েও পুরোপুরি ঐকমত্য হয়নি। অনেকগুলো দলই অর্থবিলের পাশাপাশি আস্থা ভোট, সংবিধান সংশোধন বিলে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা দেওয়ার বিপক্ষে।
এই প্রস্তাবের ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান হল– সংসদে আস্থা ভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনী বিল এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত, এমন সব বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যাবে না।
জামায়াতে ইসলামীও অর্থবিল, সংবিধান সংশোধন বিল ও আস্থা ভোটের ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে সংষদ সদস্যদের স্বাধীনতা দেওয়ার পক্ষে।
অন্যদিকে এনসিপির অবস্থান হলো– সংসদ সদস্যরা সংসদে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবেন। পাশাপাশি সরকারের স্থিতিশীলতাও যেন রক্ষিত হয় সে ধরনের সাংবিধানিক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবে মতপার্থক্য কমার আশা
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ইনসাইড আউট’ এ ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, দ্বিতীয় ধাপে দলগুলোর মত পার্থক্য আরও কমে আসবে।
সংলাপের প্রথম ধাপে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা কতটুকু এগোল? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”অনেক বিষয়ে (সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুদক, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার) ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নীতিগত জায়গার দিক থেকে বেশ কিছু জায়গায় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে আছে।”
তার ভাষায়, ‘কমিটমেন্টের’ জায়গা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রায় সবাই একমত যে সংস্কার হতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে নীতিগত জায়গার সবাই একমত হলেও প্রক্রিয়া নিয়ে মতভেদ থাকার কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়ে মাত্রার হেরফের রয়েছে, কীভাবে এটা করা যায়। কিন্তু কমবেশি সব রাজনৈতিক দলের সবাই প্রায় নিশ্চিত, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।”
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনে সকলেই কমবেশি একমত বলে জানান তিনি।
“যে কোনো না কোনোভাবে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের এখনকার যে পরিস্থিতি, যেভাবে এটা তৈরি করা হয়েছে, সেখান থেকে এটা পরিবর্তন করে সংসদ সদস্যদের আরো কিছু স্বাধীনতা দিতে হবে।”
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার বিষয়ে ‘একটা বড় রকমের ঐক্যমত’ হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
“ফলে আমি বলব অনেক বিষয়ে নীতিগত জায়গা থেকে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও আসলে কীভাবে করা হবে সেটার বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। আবার কিছু কিছু মতপার্থক্য তো আছে।”
ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটে 'বিভ্রান্ত' বিএনপি
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবে বিএনপির দ্বিমত
সকল সংশোধনী গণভোটের বিধানে করা উচিত নয়: সালাহউদ্দিন
গণপরিষদের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার
জামায়াতের মতামত ঐকমত্য কমিশনে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে জোর
ঐকমত্য কমিশনকে 'মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা' দিল এনসিপি
কেমন অন্তর্বর্তী সরকার ও ছায়া মন্ত্রিসভা চায় এনসিপি?
সংবিধান সংস্কার: রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, দেশের সাংবিধানিক নাম বদলের সু
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ হবে বিষয়ভিত্তিক: আলী রীয়াজ
মুক্তিযুদ্ধ সব কিছুর ঊর্ধ্বে, চব্বিশ অভূতপূর্ব: আলী রীয়াজ
সংসদে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে: আলী রীয়াজ