Published : 13 May 2025, 08:55 PM
নাগরিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে ওঠা ব্যাটারিচালিত রিকশার লাগাম টানার চেষ্টায় এসবের কারখানা এবং চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করার কথা বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
আর রাজধানীর মূলসড়কে এসব রিকশা চলতে না দেওয়ার কথা আবারও বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার ঢাকার আসাদগেটে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা বন্ধে অভিযানে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএনসিসি এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
একটি সমীক্ষার বরাত দিয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা।
“এগুলো কোনো নীতিমালা বা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়নি। প্রায়ই দেখা যায় পথচারীদের উপর উঠে যাচ্ছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।”
ডিএনসিসি এই মাসের মধ্যেই রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণরাই বৈধ লাইসেন্স পাবে এবং অনুমোদিত কোম্পানির তৈরি রিকশা শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় চালাতে পারবে।
“এক এলাকার বৈধ রিকশা অন্য এলাকায় যেতে পারবে না। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ভাড়াও নির্ধারিত থাকবে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য একটা রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হবে। রিকশা নিয়ে যে বাণিজ্য রয়েছে তা বন্ধ করা হবে।”
ডিএনসিসি জানিয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অভিযানে অন্তত ১০০টি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয়।
এ সময় ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রাতে করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ফেইসবুকে এক পোস্টে বলেন, “আজকে যে তিনজনের রিক্সা ভাংগা হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। মেইন রোডে না আসার জন্য ও কড়া মেসেজিং দেয়ার জন্য তিনটি রিক্সা ভাংগা হয়েছিলো। আমরা পরিবারগুলোকে আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।”