Published : 30 May 2025, 05:35 PM
নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীতে যে অতি ভারি বৃষ্টি ঝরেছে, সেই পানি দিনমানেও নামেনি নিউ মার্কেট এলাকা থেকে।
শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরের গলিতে পানি জমে আছে। ১ নম্বর গেইটে একটি পাম্প বসিয়ে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন সেখানকার কর্মীরা।
একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃষ্টি হইলেই এই রাস্তায় পানি জমে যায়। আমাদের মার্কেটেও পানি চলে আসে।
“ভাগ্য ভালো সবসময় পাম্প চালু থাকে। নইলে মালপত্র ভিজে যেত।”
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ।
এর পরও কম-বেশি বৃষ্টি ঝরেছে। বিকাল ৪টার সময়ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নূর জাহান শপিং কমপ্লেক্স, বদরুদ্দোজা শপিং সেন্টারের সামনে মিরপুর রোডে ও নায়েম রোডে পানি জমে আছে।
বৃষ্টির কারণে ক্রেতা অনেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
আল মুজাহিদ নামে এক বিক্রেতা বললেন, “পানির কারণে কাস্টমার আসতেছে খুব কম। ঈদের আগে এমন আরও বৃষ্টি হইলে আমাদের ব্যবসা লাটে উঠব।”
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা শাফায়েত হোসেন নামে একজন বলেন, “ঈদের জন্য টুকটাক কেনাকাটা ছিল৷ এজন্য এসেছিলাম। কে জানত এদিকে নদী হয়ে আছে সব।”
সেখানে সকাল থেকেই পানি সরানোর কাজ করছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। তারা জানালেন, সকালে আশপাশের গলিতেও পানি ছিল। এখন কেবল মিরপুর রোড আর নায়েম রোডে পানি আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলেন, “২০১৫ সাল থেকেই এইখানে সমস্যা; স্থায়ী সমাধান না করলে আমাদের কী করার আছে? এভাবে কতক্ষণ পানি নামানো যায়?"
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগে ওই এলাকার বৃষ্টির পানি পিলখানার ভেতরের একটা নালা দিয়ে যেত। বিডিআর বিদ্রোহের পর সেই নালাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে সেদিকে পানি যেতে পারছে না।
“আমরা চেষ্টা করছি আপাতত রাস্তার পানি সরানোর। নিউ মার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যেটা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।”