Published : 24 Apr 2023, 10:17 PM
বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণ-তরুণী গ্রেপ্তার হওয়ার পর মুক্ত হলেন আদালত থেকে জামিন পেয়ে।
রোববার রাত ৯টার দিকে ঢাকার আবুল হোটেল ক্রসিং সংলগ্ন মালিবাগ চৌধুরীপাড়া মক্কা বিরিয়ানির সামনে থেকে গ্রেপ্তারের সময় তারা মাতাল ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার শেখ মোহাম্মদ সাদমান (২৬) এবং তার সঙ্গে থাকা সারাহ বান তহুরা (২৩) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে পথচারীদের উপর মারমুখী আচরণসহ জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট করার অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (৫) ধারায় মামলা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
সেই মামলায় দুজনকে সোমবার সকালে ঢাকার আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই শাহরিয়ার।
আদালত থেকে তারা জামিন পেয়েছেন বলে পরে জানান রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাতে রামপুরা বাজারের কাছে একটি মোটরসাইকেলকে কালো রংয়ের একটি প্রাইভেট কার ধাক্কা দেয়। এ সময় গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করা হলেও প্রাইভেট কারের চালক এগিয়ে যেতে থাকেন। পরে যানজটের কারণে প্রাইভেট কারটি আর এগোতে পারেনি।
এ সময় স্থানীয়রা গাড়িটিকে আটকিয়ে জটলা ধরলে চালক গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন প্রাইভেট কারের সামনে সিটে পা রাখার জায়গায় অচেতন এক নারীকে দেখতে পায় জনতা।
রামপুরা থানার এসআই সজল সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসাপাতালের তাদের পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানিয়েছেন, তারা দুজনই নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য পান করেছে। ফলে তারা দুইজনই মাতাল ছিল।”
পরে চিকিৎসা দিয়ে তাদের থানায় আনা হয় বলে জানান এসআই সজল সাহা।
এসআই শাহরিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হাসপাতাল থেকে ‘ওয়াশ’ করে থানায় আনার পর জানায় যে গুলশানের একটি বারে তারা মদপান করেছিলেন।
তিনি বলেন, প্রাইভেট কারটি সাদমানের। তার বাবা ব্যবসায়ী শেখ মোহাম্মদ নজরুল অনেক আগেই মারা গেছেন। খিলগাঁও এলাকায় তাদের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। এছাড়া একই এলাকার তহুরার বাবা সাঈদ শাহিন আক্তারও একজন ব্যবসায়ী। বর্তমানে ব্যবসার প্রয়োজনে তিনি ভারতে রয়েছেন।
উপকমিশনার মো. রাশেদুল জানান, ঘটনার পর তাদের পরিবারের কেউ পুলিশের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। দুজনও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেননি।