Published : 16 May 2025, 07:29 PM
কক্সবাজার থেকে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে উড়তে শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বিজি-৪৩৬’ ফ্লাইট।
ওড়ার শুরুর পরেই দেখা দেয় বিপত্তি; খুলে পড়ে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের পাশের একটি চাকা।
ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহ, যার প্রায় আট হাজার ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার জায়েদ।
পাইলট ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টারে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরপর আমরা ফ্লাইটটি ইমার্জেন্সি ঘোষণা করি৷
“তারপর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, ইমার্জেন্সি প্রটোকলসহ সব ব্যবস্থা নেওয়া হয় রানওয়েতে। এর মধ্যে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করে।”
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা বলেন, রানওয়ে ছাড়ার পরেই বিমানের পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। পরে চাকাটি পাওয়া যায় কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায়।
উড়োজাহাজটি ছিল কানাডার তৈরি ড্যাশ-৮ ৪০০ মডেলের। ওই ফ্লাইটে ৭১ জন যাত্রী এবং দুইজন ক্রু ছিলেন।
চাকা খুলে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই প্রশ্নে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, “এসব উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারের একেক দিকে দুইটা করে চাকা থাকে। দুইটার মধ্যে এক্সটারনাল সাইডের একটা চাকা পড়ে গিয়েছিল।
“এই চাকা পড়ে যাওয়ার পরও ল্যান্ড করা যায়। তবে সতর্কতা ও দক্ষতার সঙ্গে করতে হয়। এটা প্রশিক্ষণেরই একটা অংশ। এখানে পাইলট সতর্কতার সঙ্গেই অবতরণ করেছেন।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যাত্রা শুরুর আগে ‘প্রি-ফ্লাইট ইন্সপেকশন’ হয়। হয়ত চাকাটা সম্প্রতি বদলানো হয়েছে৷ সেসময় সব কিছু ঠিকঠাক লাগানো হয়েছে কিনা, সেটা দেখতে হবে৷
“অনেক কিছুই হতে পারে। ম্যাটেরিয়াল ফেইলিওর হতে পারে। তারপরও আমি মনে করি, এটাতে হিউম্যান গাফিলতি কিছুটা হলেও ছিল। আমি মনে করি, এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত৷”
বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর বলেছেন, এ ঘটনায় বিমানের চিফ অব সেইফটি ক্যাপ্টেন এনাম তালুকদারকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন