Published : 13 May 2025, 07:39 PM
নরসিংদীর হাড়িধোয়া নদীর দখল ও দূষণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নরসিংদী জেলার জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
বেলা’র পক্ষে আইনজীবী এস হাসানুল বান্না এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন শুনানি করেন।
শুনানি শেষে হাই কোর্ট অন্তবর্তিকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করে।
রুলে হাড়িধোয়া নদী দখল ও দূষণ থেকে রক্ষার ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক, বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছে আদালত।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ও স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নদী তীরবর্তী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে দূষণ প্রতিরোধকারী যন্ত্র, বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র স্থাপন, কার্যকারিতা সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করার জন্য কমিটি গঠন করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি নিয়মিত হাড়িধোয়া নদীর পানির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নরসিংদী জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আদেশ কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল থেকে উৎপন্ন ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হাড়িধোয়া নদী জেলার শিবপুর, পলাশ ও সদর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একসময় এ নদী নরসিংদীবাসীর যোগাযোগের অন্যতম পথ ছিল।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সময়ের বিবর্তনে নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল হাট বাজার, শিল্প কারখানা। এসব হাট বাজার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানই নদীটিকে মেরে ফেলার আয়োজন করেছে বলে রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।