Published : 17 Feb 2025, 07:38 PM
লং মার্চের ঘোষণা দিয়ে চার ঘণ্টা পর শাহবাগ মোড় ছেড়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতরা।
তবে কবে লং মার্চ করবেন সেই ঘোষণা দেননি তারা। সবার সঙ্গে আলোচনা করে লং মার্চ কর্মসূচি পরে তা জানানোর কথা বলেছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একজন।
বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোমবার দুপুর আড়াইটার পর রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ মোড় অবরোধ শুরু করেন জুলাই-অগাস্ট অভ্যুত্থানে আহতরা। পরে রাত পৌনে ৭টায় তারা সড়ক ছেড়ে দেন। এরপর দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকা গাড়ি চলতে শুরু করে।
নিজেকে অভ্যুত্থানে আহত দাবি করে শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচিতে থাকা আন্দোলনকারীদের এক নেতা আরমান হ্যান্ডমাইকে বলেন, "আমরা তিন দাবিতে লং মার্চ করব। সব আহতরা এতে অংশ নেবেন। সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা তারিখ ঘোষণা করব।“
পুলিশের রমনা জোনের উপ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, "লং মার্চ করবেন বলে ঘোষণা দিয়ে আহতরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।“
দুপুর আড়াইটার দিকে অভ্যুত্থানে আহতরা শাহবাগ মোড় আটকে অবস্থান নিয়েছিলেন। এতে কোনো যানবাহন শাহবাগ মোড় অতিক্রম করতে পারছিল না। বিকল্প সড়কে যানবাহন চলাচল করলেও দুর্ভোগে পড়েছিলেন এ পথে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক বন্ধ থাকায় গাড়ির চাপ বাড়ে অন্যান্য সড়কে। বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এতে সড়কে থাকা ব্যক্তিরা এবং অফিসে ফেরত চাকুরিজীবীরা ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত দাবি করে আরাফাত সানি নামে একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আহতদের তিন-চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হচ্ছে, এ দুইটি ক্যাটাগরি ভাতা পাবে, বাকিদের দেওয়া হবে না; এটা বৈষম্য।
”আমরা চাই যেন সব আহতদের দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হোক। আমরা যখন উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম তারাও এরকমটা জানিয়ে ছিলেন।
"আর আমরা আহতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আহতদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য হট লাইন নাম্বার চালু করার দাবি জানাচ্ছি।"
এদিকে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় আহতরা সাংবাদিকদের সঙ্গে 'দুর্ব্যবহার' করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার মাহমুদ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "জনদুর্ভোগের ফুটেজ ও তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আহতরা হুমকি ধামকি দিয়েছেন।"
অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার বুলবুলের অভিযোগ, "জন দুর্ভোগের ফুটেজ ও তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আহতদের একজন আমার কলার চেপে ধরেছেন। আমরা তাদের কর্মসূচি কভার করব না।"
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের নেতা আরমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য আমরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।"
আরও পড়ুন