Published : 07 May 2025, 06:34 PM
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংশোধিত অধ্যাদেশের গেজেট পেলে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ কাজ দ্রুত শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের সায় পাওয়ার পরদিন বুধবার এই কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ।
উপদেষ্টা পরিষদ এ খসড়া মঙ্গলবার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “আমরা আইন সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিলাম। গতকাল উপদেষ্টা পরিষদে তা অনুমোদন হয়েছে। এখন সেই গেজেট পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।”
এক্ষেত্রে সীমানা পুননির্ধারণে আইনে যেসব পন্থা আছে সেগুলোই অনুসরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে খসড়া প্রকাশের আগেই ইতোমধ্যে চার শতাধিক আবেদনও জমা পড়েছে।
ইসি সচিব বলেছেন, কমিশনের কাছে ৬১টি আসন থেকে এ পর্যন্ত ৪০৫টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রাথমিক কাজগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের গেজেট পেলে তা কমিশনে উপস্থাপন এবং দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
সীমানা সংক্রান্ত আইন-নীতিমালা মেনে খসড়া প্রকাশ, দাবি-আপত্তি-নিষ্পত্তিসহ পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
এক প্রশ্নে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “সীমানা নির্ধারণ আইনে একটা কাঠামো দেওয়াই আছে, সে অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“টাইম লিমিটি বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়। এখন আমরা খুব প্রিম্যাচিউর অবস্থায় রয়েছি। আমরা দ্রুত কাজটা শুরু করতে চাই,” বলেন সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ৩০ জানুয়ারি (তৃতীয় কমিশন সভা শেষে) বলেছিলেন, মানুষের মধ্যে শহরমুখী প্রবণতা রয়েছে। জনসংখ্যা ভিত্তি ধরলে শহরের দিকে আসন বাড়বে, অন্য এলাকায় কমবে। কমিশন মনে করে, এতে সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয় না।
ইসি ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থান ও সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ষংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করতে চাচ্ছেও বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০০৮-২০২৩ সালের সীমানা নির্ধারণে বিতর্কের বিষয়টিও তুলে ধরে বদিউল আলম মজুমদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ভবিষ্যতে স্বাধীন সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে।
সংস্কার কমিশন বলেছে, ২০০১ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিশেষ কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভিত্তিক সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ করা হয় ২০০৮ সালে। সে সময় জাতিসংঘের সহায়তায় একজন আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণ বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দিয়ে একটি গবেষণা করা হয়, যদিও ওই গবেষণার সব পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি।
সংসদ নির্বাচন: সীমানা আইন সংশোধনীর অপেক্ষায় ইসি