Published : 13 Jun 2025, 01:43 PM
ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে ট্রেনের আগাম টিকেটের যাত্রীরা ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীতে।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে যেসব ট্রেন আসছে, সবগুলোই ছিল যাত্রীতে পূর্ণ।
কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়েছে ৭ জুন। ঈদের আগে ৫ জুন থেকে পরবর্তী ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সরকারি ছুটিকে অনুসরণ করে ব্যাংক, এনজিওসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বাড়তি ছুটি দেয় ঈদ উপলক্ষে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফিরতি যাত্রার চতুর্থ দিনে শুক্রবার সকাল থেকে ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন কমলাপুরে ঢুকেছে। সবগুলো ট্রেনই ঠিক সময়ে ও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরেছেন বেসরকারি চাকুরে রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদ উদযাপনে বাড়ি গিয়েছিলাম। লম্বা ছুটির পর ঢাকায় ফিরে এসেছি। যেতে কিছুটা ভোগান্তি হলেও আসার সময় তেমন বেগ পেতে হয়নি। তবে, যাত্রীর চাপ ছিল ভালোই।”
সিলেটে ঈদ করে ঢাকায় ফেরা সাহিদা বেগমের মন খারাপ। তিনি বলেন, “আসলে ঈদের আগে একটা চাপা আনন্দ থাকে মনে। ঈদ আসছে, বাড়ি যাব। কিন্তু, উৎসব শেষে এই ফেরাটা আবার মন খারাপ করে দেয়। তবু, জীবন জীবিকার টানে ফিরতে তো হয়ই।”
“ছুটিতে বাড়ি গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে করে না। মন খারাপ হয়। তবু, ফিরে তো আসাই লাগে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে দেরি আছে। কিন্তু, টিউশন করাই, না ফিরলে হবে না।অগত্যা এই ফিরে আসা”, বলছিলেন রংপুর থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসেন।
এবারের ঈদে বাড়তি ৫ জোড়া অর্থাৎ ১০টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। আর, ঢাকায় কোরবানির পশু সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিনটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন ২ দিনে চালানো হয়।
ট্রেনের ৩১ মের আসন বিক্রি হয়েছে ২১ মে; ১ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২২ মে; ২ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৩ মে; ৩ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৪ মে; ৪ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৫ মে; ৫ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৬ মে এবং ৭ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৭ মে।
আর ফিরতি যাত্রার ৯ জুনের টিকিট ছাড়া হয়েছে ৩০ মে, ১০ জুনের ৩১ মে, ১১ জুনের ১ জুন, এবং ১২ জুনের টিকিট ছাড়া হয়েছে ২ জুন। ১৩ জুনের টিকিট বিক্রি হয় ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন এবং ১৫ জুনের জন্য ৫ জুন বিক্রি করা হয়।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং মাস্ক পড়ার অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে মাস্ক পরা যাত্রীর সংখ্যা কম দেখা গেছে।