Published : 26 May 2025, 05:04 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে পৃথক মামলায় শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকেও।
পাশাপাশি নিউ মার্কেট থানাধীন আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনাইদ এ আদেশ দেন।
মামলাগুলোর মধ্যে, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও পলককে মিরপুর থানার মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যা মামলায়, আসাদুর রহমান কিরণকে উত্তরা পূর্ব থানার মাহমুদুল হাসান ও ইসতিয়াক মাহমুদ হত্যার দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এছাড়া সালমান এফ রহমানকে অপহরণ, অর্থআত্মসাতের অপরাধে গুলশান থানার ২ মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শাহে আলম মুরাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক আমজাদ হোসেন তালুকদার। শুনানিতে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
মুরাদের পক্ষে তার আইনজীবী ওবাইদুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুকক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
শ্রাবণ হত্যার মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকার পতনের দিন মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবন (২১)। আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শ্রাবণকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ২০ এপ্রিল নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী মিরপুর থানায় শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
শাহে আলম মুরাদের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেইটের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের শ্যালক আব্দুর রহমান।