Published : 14 May 2025, 01:11 PM
জুলাই আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা পৃথক সাত মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও আনিসুল হকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি বংশাল থানার শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
তাদের মধ্যে আনিসুল হককে ৩ মামলায়, আমির হোসেন আমু, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলককে ২ মামলায়, মনিরুল ইসলাম মনুকে তিন মামলায়, শাজাহান খানকে ১ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই সবগুলো মামলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক। কোনোটি হত্যা মামলা, আবার কোনোটি হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা এই আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
এ দিন আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে।
জাহাঙ্গীর ২ দিনের রিমান্ডে
গত ১২ এপ্রিল জাহাঙ্গীর আলমের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিরেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পণ্ডিত। সেদিন আদালত রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি জন্য এদিন ঠিক করেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জাহাঙ্গীর আলমের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। এই আইনজীবী অসুস্থ বিবেচনা করে প্রয়োজনে জাহাঙ্গীর আলমের জেলগেটে জিজ্ঞাসাদের প্রার্থনা করেন।
শুনানি শেষে আদালত জাহাঙ্গীর আলমক দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের ইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান এসব নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর সকার পতনের দিন শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। ওইদিন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এলাকায় ছাত্র জনতার ওপর আসামিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে।
আসামিদের ছোড়া বুলেটে ঘটনাস্থলে জুনায়েদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে মিটফোর্ড হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।