Published : 09 May 2025, 01:01 AM
'বদলির মৌসুমে' শিক্ষক-কর্মকর্তাদের তদবিরে অতিষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, অফিসের সময় ছুটি নিয়ে বদলির আবেদন হাতে অধিদপ্তরে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের তদবিরের কারণে তারা ‘কোনো কাজ করতে পারছেন না।'
এমন পরিস্থিতিতে বদলির আবেদন নিয়ে সরাসরি অধিদপ্তরে না এসে যথাযথ মাধ্যমে তা পাঠাতে বলা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃবিভাগ বদলির আবেদন শুরু দিন এমন নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আলেয়া ফেরদৌসী শিখা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "শিক্ষক-কর্মকর্তাদের তদবিরে কাজ করা যাচ্ছে না। তারা অধিদপ্তরে এসে বদলির আবেদন নিয়ে তদবির করছেন।
"মহাপরিচালক মহোদয়কে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সাক্ষাৎ দিতে হচ্ছে, তাই তিনিও কাজ করতে পারছেন না।"
তাই অধিদপ্তর যথাযথ মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলির আবেদন পাঠাতে বলেছে জানিয়ে উপপরিচালক বলেন, "শিক্ষকদের বদলির আবেদন অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে। আর শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলির আবেদন ম্যানুয়ালি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নেওয়া হয়।"
বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখা থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলির আবেদন পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়।
সেখানে বলা হয়, “প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এর আওতাধীন বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকরা অফিস চলাকালে ছুটি নিয়ে বদলির আবেদন নিয়ে সরাসরি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আগমন করেন। যার ফলে মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর কাজের এবং বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটছে বলে প্রতীয়মান হয়।”
বৃহস্পতিবার থেকে অনলাইনে সহকারী শিক্ষকদের এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে বদলির আবেদন অনলাইনে গ্রহণ শুরু করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আগামী ১০ মে পর্যন্ত তারা বদলির আবেদনের সুযোগ পাবেন। ১১ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বদলির আদেশ জারি করা হবে। তবে কবে এ আদেশ জারি হবে তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।