Published : 25 Mar 2025, 08:31 PM
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে মঙ্গলবার এই কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১১ সদস্যের এ কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সরকআরের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বিদ্যমান নিয়ম পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ কমিটিকে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারা দেশে সেই আন্দোলনের মধ্যে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ কোটায় নিয়োগের নিয়ম রেখে ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পরে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে নানা দিকে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এর অংশ হিসেবে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে এই কমিটি করা হল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (বিধি অনুবিভাগ) নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন উপসচিব (বিধি-১)।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মকমিশন ও লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পর্যায়ের একজন করে কর্মকর্তা কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন।
কমিটি প্রয়োজনে আরো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
পুরনো খবর