Published : 30 Jan 2025, 11:46 PM
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি নিয়ে অনশন আর সড়ক অবরোধের কর্মসূচির মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন।
নুরুজ্জামান বলেন, “তোমাদের দাবির যৌক্তিকতা আমি ঊর্ধ্বতনদের জানাব। তোমারা অনশন প্রত্যাহার করো।”
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ওই আশ্বাসে তারা সড়ক অবরোধ ও অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না।
আন্দোলনকারীদের একজন কলেজটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রোমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তাদের আশ্বাসে বিশ্বাস করি না। তারা এ আশ্বাস আগেও বহুবার দিয়েছেন। আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে কলেজের মূল ফটকের সামনের সড়ক আটকে বিক্ষোভ করছেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অনশনরতরাও রয়েছেন। রাত ১১টায়ও কলেজের সামনে তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
তাদের এই অবরোধের কারণে দিনভর রাজধানীর গুলশান-বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেইট ও মগবাজার এলাকায় তৈরি হয় ভয়াবহ যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, পথচারীরা। রাতেও মহাখালী এলাকায় ধীরগতিতে গাড়ি চলতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবি নিয়ে অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে বুধবার বিকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন।
আন্দোলনকারীদের একজন আলী আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবিতে অনশনে ছিলেন। ক্যাম্পাস শাটডাউন থাকার পরও অধ্যক্ষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। অনশনরতরা অসুস্থ হওয়ার পরও তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন নাই।
“উল্টো তাদের দিকে মাইক দিয়ে গান-বাজনা চালাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সড়ক অবরোধ করেন।”
আরও পড়ুন-
৭ ঘণ্টায়ও সড়ক ছাড়েননি তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, তীব্র যানজট