Published : 15 Jun 2025, 10:51 PM
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অধিগ্রহণ করা জমিতে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য ভবন নির্মাণের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
রোববার ঢাকার বনানীতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যালয় সেতু ভবনে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে এ অনৈতিক কাজের প্রমাণ পাওয়ার বিষয়টি সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য ‘পুনর্বাসন ভিলেজ’ নির্মাণের জন্য ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১২টি ভবনে ১৩৪৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়।
অভিযানে দুদক টিম জানতে পারে, ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বেও সচিবসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য ৪০ একর জমির মধ্যে থেকে ১ দশমিক ১৫ একর জায়গায় চারটি ভবন—পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও কর্ণফুলী—নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে ২৮০টি ফ্ল্যাট থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি অর্থে অধিগ্রহণকৃত জায়গায় কীভাবে, কোন নীতিমালায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সে সংক্রান্ত নথিপত্র সেতু ভবন থেকে সংগ্রহ করেছে দুদক টিম।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় এ প্রক্রিয়ায় অনৈতিকতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযানকালে সংগ্রহ করা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দুদক টিম কমিশনে কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।