Published : 12 May 2025, 12:41 AM
গণঅভ্যুত্থানের ‘প্রতীক’ হওয়া সত্বেও মাঠের অভিজ্ঞতা না থাকায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলের ‘পেছনে ছুটছেন’ বলে মনে করেন কলামনিস্ট ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, যার যুক্তি তিনি দেখছেন না।
জনগণের সামষ্টিক ‘কর্তা-সত্তার’ বাইরে মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন, এমন পর্যবেক্ষেণ এসেছে তার কাছ থেকে।
ফরহাদ মজহারের মতে, প্রধান উপদেষ্টার এমন সাধারণ মনোভাবের কারণে জনগণের মধ্যে ‘বিভক্তি’ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, “এটা তার রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার জন্য হয়েছে। কারণ, রাজনৈতিক দলের কাছে তার নতজানু হওয়ার কোনো যুক্তি নাই। তিনি, তাকেতো জনগণ বসিয়েছে।”
ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতার সরকার নয়, এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন এই চিন্তক। তার মতে, এ কারণে সংস্কার কার্যক্রম ইতোমধ্যে ‘ব্যর্থ’ হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘ইনসাইড আউট’ আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন ফরহাদ মজহার। অনেকের মতে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেপথ্যের অন্যতম নায়ক।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, সরকারের উপদেষ্টা, সংস্কার উদ্যোগসহ নানা বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন এই কলামনিস্ট।
রোববার শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি সম্প্রপ্রচার করা হয়।
গণঅভ্যুত্থানের ‘কর্তা’ জনগণ
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের যখন পতন ঘটে তখন মুহাম্মদ ইউনূস ফ্রান্সে। সেখান থেকে ৮ অগাস্ট দেশে ফেরার পর সেদিনই রাষ্ট্রপতির কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার শপথ নেন।
অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা সরকারপ্রধানের পদে বসানোর কারণে মুহাম্মদ ইউনূস গণঅভ্যুত্থানের ‘প্রতীক’ হয়ে ওঠেন মন্তব্য করে কলামনিস্ট ফরহাদ মজহার বলেন, “তাকে কোনো রাজনৈতিক দল কিন্তু এই পদে বসায় নাই। এটা জনগণ, ছাত্ররা তাকে বসিয়েছে।
“এবং তারা ছাত্ররা বসিয়েছে, কীভাবে বসিয়েছে? গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক আকারে তিনি বসেছেন। তো সেই প্রতীককে কেন রাজনৈতিক দলের পায়ে তিনি বিসর্জন দিলেন? তিনি তো নিজেই ক্ষমতাবান।”
ছাত্র-জনতার আন্দোলেনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলের আকারে গণঅভ্যুত্থান হয় নাই। যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি আকারে অংশগ্রহণ করেছে। অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক দলকে আলাদা ‘লেজিটিমেসি’ দিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করেছেন।
“কারণ আপনি জনগণের যে পলিটিক্যাল এজেন্সি, তার যে রাজনৈতিক কর্তা-সত্তা, এটাকে আপনি অস্বীকার করে কতগুলো লুটেরা-মাফিয়া শ্রেণির রাজনৈতিক দলের কর্তা-সত্তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটা তো হতে পারে না। কারণ এখানে তো গণঅভ্যুত্থান করেছে জনগণ।”
সেই জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কীভাবে ছিল, তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “সে জনগণের মধ্যে কি রাজনৈতিক দলের কর্মী নাই? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আছে।
“আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু আমি যখন অংশগ্রহণ করেছি, তা আমিতো সে আমার মতাদর্শকে বাদ দিয়ে সবার সঙ্গে সামষ্টিকভাবে একমত হয়েছি।”
গণঅভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে আনাটা ‘সঠিক’ থাকলেও ‘রাজনৈতিক ময়দানের’ অভিজ্ঞতা না থাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ‘দুর্বল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেন, “আমরা চাইবার আন্তর্জাতিক যে কারণ ছিল এটা সঠিক ছিল, সন্দেহ নেই। কারণ আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক যে দ্বন্ধ, এই বিরোধগুলোর ক্ষেত্রে তিনি যে ভূমিকা রাখতে পারেন, তিনি প্রাণপণ সে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন, এটা আমি বাইরে খুব সহজে বুঝতে পারি।
“কিন্তু আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি, সেটা হল সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব দুর্বল। আমরা যারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকি, তাদের চিন্তা চেতনা, তর্ক বিতর্ক যে রাজনীতির একেবারে উত্তপ্ত জায়গাগুলো, এ গরম ময়দানগুলো সম্পর্কে তার খুব একটা ধারণা নেই। সে ধারণা না থাকার কারণে তিনি গণমানুষের পক্ষে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা ঘাটতি দেখছি।”
প্রধান উপদেষ্টার এভাবে রাজনৈতিক দলের কাছে যাওয়ার কারণে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ‘বাজে কথা’ শুনতে হচ্ছে বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলের কাছে কবে নির্বাচন, কবে নির্বাচন, কবে নির্বাচন- এসব বাজে কথা শুনতে তিনি গেছেন। আমরা কি বলেছি তাকে এটা করতে? আমরাতো এটা বলি নাই তাকে এটা করতে।
“তার তো উচিত ছিল জনগণের কাছে যাওয়া। তিনি যখনই জনগণের কাছে দেবেন, স্বভাবতই তাদের, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা জনগণ আকারে বিভিন্ন জায়গায় থাকলে তারা যাবে, কথা শুনবে। তার সঙ্গে কথা বলে তাদের কথা প্রকাশ করবে।”
নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সুযোগ মুহাম্মদ ইউনূসই তৈরি করে দিয়েছেন, যার দরকার ছিল না বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
এমন পরিস্থিতিকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন,
তার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় এই কলামনিস্ট বলেন, “কারণ এই গণঅভ্যুত্থানের কর্তা রাজনৈতিক দল নয়, জনগণ। এই শিক্ষাটুকু তার রাজনৈতিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে, তিনি এটা ধরতে পারেন নাই। তাকে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমার কাজ। যে, এখানে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ছিল না। রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ছিল তাদের কর্মীদের ভূমিকা ছিল, তারা জনগণ আকারে অংশগ্রহণ করেছে। সকলেই আমরা জনগণ তার মধ্যে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পরে রাজনৈতিক দলের সুবিধা তারা নিতে থাকে। এটা তো হবে না।”
বিদেশ থেকে এনে রাষ্ট্রীয় পদে বসানো ‘মারাত্মক ভুল’
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে ‘সঠিক রাজনৈতিক পরামর্শ’ দিতে পারে এমন কেউ উপদেষ্টা পরিষদে নেই বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার।
সরকারে কিংবা বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে বিদেশিদের নিয়ে আসার পক্ষে না থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) যাদেরকে বিদেশ থেকে এনেছেন বিভিন্ন কমিশনে, কিংবা তারা উপদেষ্টা হিসেবে আমি এটার পক্ষে না।
“কারণটা হচ্ছে এই যে, যে তর্কটা উঠেছে তারা ব্যক্তি হিসেবে মন্দ ব্যক্তি, আমি তা বলছি না। আমি তাদের অনেককে খুবই পছন্দ করি, অনেকে আমার বন্ধুও বটে এবং তাদের আমি বন্ধু বলে আমি স্বীকার করি। কিন্তু আপনি একটা রাষ্ট্রকে ছোট করতে পারেন না।”
রাষ্ট্রকে ছোটো করা হয় কীভাবে তার ব্যাখ্যায় এ চিন্তক বলেন, “সেটি হল-যদি কেউ বিদেশি নাগরিক হয় বা দ্বৈত পাসপোর্টধারী হয়, আপনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তাকে দিতে পারেন না, এটা গ্রহণযোগ্য না। এটা গ্রহণযোগ্য না।
“তাকে কী পারেন? আপনি তাকে পরামর্শক রাখতে পারেন, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি যখনই তাকে একটা রাষ্ট্রীয় পদে দিচ্ছেন, যখন তার আদেশটা বাধ্যতামূলক হয় অন্যের পালন করাটা, এটা ভুল সিদ্ধান্ত। এটা মারাত্মক ভুল।”
‘ইউনূস গণঅভ্যুত্থানের নায়ক নন, ফল’
গণঅভ্যুত্থানের পর আসা মুহাম্মদ ইউনূসের জনগণের কথা শোনার কথা থাকলেও তার প্রতিফলন সেভাবে না দেখার কথা বলছেন ফরহাদ মজহার।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন দলের ঘেরাও কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তিনি কি গতকাল জনগণের কথা শোনেননি?
“কেন ছাত্রদেরকে তার যে অফিস, এটাকে ঘেরাও করতে হল। তার আগেই কি তার বুঝা উচিত ছিল না, তাদের ক্ষোভটা কোথায়? তাদের কষ্টটা কোথায়? তারাই তো তাকে এনেছে। তিনি তো গণভ্যুত্থানের নায়ক নন, তিনি গণভ্যুত্থানের ফল। এটা তো ভুলে গেলে চলবে না।”
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ও পেছনে ‘একশ ভাগ থাকা এবং সমর্থন করার’ প্রত্যয় জানিয়ে এই চিন্তক বলেন, “কিন্তু তার ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়া আমার কাজ। এই ভুলগুলো তাকে শোধরাতে হবে। ফলে তাকে সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক উপদেশ দেবার, রাজনৈতিক উপদেষ্টা, এটা তার দরকার।
“এ উপদেশটা তার দরকার এবং আমরা আনন্দচিত্তে তার পক্ষে এটা করব। যখনই তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হবে, অন্যায় ক্ষোভ, এটা আমরা প্রতিহত করব।”
‘আমরা তাকে ঠিক করব’
সংস্কার কার্যক্রম ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
তার মতে, সামনের ‘সংকট’ মোকাবেলার উপায় কী হবে, তা নির্ভর করবে জনগণের লড়াইয়ের উপর। এটা মুহাম্মদ ইউনূসের উপর নির্ভর করবে না।
তিনি বলেন, “ব্যর্থতো হতেই পারেন। তিনি তো কাজ করতে আসছেন। ব্যর্থ হলে কি তিনি ব্যর্থ হয়ে যাবেন? তার মানে কি ডক্টর ইউনূস খারাপ হয়ে গেল তার জন্য? তিনি কাজ করতে এসছেন, আমরা তাকে সহায়তা করছি, তাকে ঠিক করব আমরা। আমরা যেহেতু তাকে নিয়ে এসেছি, তাকে আমরা ঠিক করব।”
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের মনোভাব ঠিক থাকলেও শুরুর দিকে অনেকে তাকে ‘ভুল পথে নিয়ে চলে গেছে’, এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ফরহাদ মজহারের বলেন, “তিনি হয়তো বুঝতে পারেন না, তো হতেই পারে। একটা রাজনৈতিক নেতা তো নন তিনি। ফলে আমাকেতো বুঝতে হবে যে, আমি কোন বাস্তবতার মধ্যে বাস করছি।”
‘সংবিধান সংস্কারের পক্ষে ছিলাম না’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শুরু থেকেই সংবিধান সংস্কারের পক্ষে না থাকার কথা বলেছেন অভ্যুত্থানের সময় আলোচনায় থাকা এই চিন্তক।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই সংবিধানের অধীনে ঢোকানোই ঠিক হয় নাই।”
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, “এখানে আমি তাদের সঙ্গে একমতই না।
“আমি কথাটা পরিষ্কার করে বলছি। আমি বারবারই বলেছি, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পরে উচিত ছিল এই সংবিধানের অধীনে সরকারটাকে না ঢোকানো, একটা পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা।
“ফলে ডক্টর ইউনূস কিন্তু আসলে পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন একজন প্রধান উপদেষ্টা বা সরকার নন। তার হাতে পূর্ণ ক্ষমতা নাই। এই পূর্ণ ক্ষমতার নাই বলে এটাকে আমি বলি ‘সেনাসমর্থিত উপদেষ্টা সরকার’।”
সেনাবাহিনী সমর্থন না করলে এই সরকার একদম ‘টিকে থাকতে পারবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আজকে আমাদের সেনাপ্রতিষ্ঠান যদি তাকে সমর্থন না করে, তাহলে এই সরকার একদম টিকে থাকতে পারবে না।
“তো এই একটা দুর্বল সরকারের পক্ষে কোনো সংস্কার করা, ইতিবাচক কোনো সংস্কার করা অসম্ভব, এটা এক নম্বর যুক্তি। দুই নম্বরটা হল এই, তিনি যাদের নিয়ে কমিশন বানিয়েছেন, এটা উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া।”
কারা চাপিয়ে দিয়েছে?
জবাবে ফরহাদ মজহার বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসই চাপিয়ে দিয়েছেন উপর থেকে; বেছে বেছে নিয়েছেন।
“এরা (কমিশন সদস্য) কি গণঅভ্যুত্থানে ছিলেন? এরা কি গণঅভ্যুত্থানকে প্রতিনিধিত্ব করেন? করেন কেউ? আমি দেখিনিতো আন্দোলনের সময়। তাদের কোনো বক্তব্য দেখি নাই। এরা কি করে হঠাৎ করে এলেন? অনেকে ‘ওয়ার অন টেররের’ পক্ষে বইপত্র লিখেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে।”
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্পর্কে এই কলামনিস্টের পর্যবেক্ষণ হল- বাংলাদেশ সম্পর্কে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের অবস্থান জানেন না তিনি।
ফরহাদ মজহার বলেন, “তার (প্রধান উপদেষ্টা) নিরাপত্তা উপদেষ্টার অবস্থানতো আমরা জানি না, বাংলাদেশের সম্পর্কে। এরাতো পরীক্ষিত নন।
“এদেরতো কোনো মতাদর্শিকভাবে আমরা চিনি না। তিনি তাদের ধরে নিয়ে এসেছেন কী করে? ধরে নিয়ে এসেছেন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট হিসেবে; টেকনিক্যাল এক্সপার্ট বলে কিছু নাই। এটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, ইউ নিড পলিটিক্যাল এক্সপার্টাইজ। আপনার রাজনৈতিকভাবে সচেতন, যারা গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।”
লোক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমন ‘দুর্বলতা’ এবং জনগণকে ‘কর্তৃত্ব’ না দেওয়ার কারণে সংস্কার কার্যক্রম ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তার (প্রধান উপদেষ্টা) এই তথাকথিত সংস্কার ব্যর্থ হবে। আরও ব্যর্থ হবার কারণটা হচ্ছে এই, তিনি জনগণকে এজেন্সি দিচ্ছেন না।
“জনগণ গণঅভ্যুত্থান করেছে, এটা তিনি এখনো স্বীকার করেননি। তিনি ধরে নিচ্ছেন, এটা রাজনৈতিক দলগুলো করেছে। ফলে তিনি আলোচনা করছেন কার সঙ্গে, রাজনৈতিক দলগুলার সঙ্গে। তারাতো এই গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তাদের কর্মীরা যুক্ত ছিল, দল আকারে নয়।”