Published : 25 Feb 2024, 02:02 PM
‘অবমাননাকর‘বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য মোহাম্মদ মহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে রোববার লিখিতভাবে তারা নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন করেন। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৮ মার্চ তারিখ রেখেছে আদালত।
আদালতে দুই আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে আইনজীবী মহসীন রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, “তাদের মামলা পরিচালনা না করতে দেওয়ার আদেশ প্রত্যাহার করেছেন আদালত। ১৮ মার্চ আদেশের জন্য আদালত তারিখ রেখেছেন। সেদিন তাদের উপস্থিত হতে হবে।“
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
ফোরামের এই কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে আইনজীবী মহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল ১ জানুয়ারি একটি চিঠি দেন। চিঠিটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় গ্রহণ করে এবং পরদিন তা প্রধান বিচারপতির সামনে উপস্থাপন করা হয়।
ওই চিঠিতে মহসীন রশিদ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও শাহ আহমেদ বাদল সদস্যসচিব বলে দাবি করা হয়।
এরপর গত ৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ এ দুই আইনজীবীকে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলে এবং ১১ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
ওইদিন আদেশে বলা হয়, “চিঠিতে কিছু অবমাননাকর স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) রয়েছে, যা রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, অবস্থান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।”
আদালতের তলবে নির্ধারিত তারিখে এই দুই আইনজীবী হাজির হন। এ বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেয়। এই সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের কোনো বেঞ্চে (আদালতে) মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও আদেশ দেওয়া হয়।
আগের ধারাবাহিকতায় ১৩ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি আদালতে ওঠে। সেদিন দুই আইনজীবী আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের পক্ষে আদালতে লিখিত বক্তব্য দাখিল করা হয়।
তাদের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আদালত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য তারিখ রাখে। এই সময় পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কোনো বেঞ্চে (আদালতে) দুই আইনজীবীর মামলা পরিচালনা না করার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই ধারাবাহিকতায় রোববার বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।