Published : 09 Jan 2024, 08:57 PM
যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার তার পক্ষে করা জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকার মহানগর হাকিম ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মো. সেলিম, শহীদুল্লাহসহ বিএনপি সমর্থক কয়েকজন আইনজীবী নবীর জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
গত ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হলে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন পুড়ে মারা যান। ৭ জনুয়ারি নির্বাচন ঘিরে বিএনপির ডাকা হরতালের আগের রাতে ওই ঘটনা ঘটে।
এরপর সেই রাতেই ৬৬ বছর বয়সী নবী উল্লাহ নবীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পরদিন তাকে যাত্রাবাড়ী থানার পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সেই রিমান্ড শেষে নবীকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। তা নাকচ করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নবী যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তাকে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে মানুষ মারার মামলাতেও রিমান্ডে নিতে চায় রেল পুলিশ।
এ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, নবীকে ট্রেন পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য দুয়েকদিনের মধ্যে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করা হবে। রিমান্ডের আবেদনও সেখানেই করতে হবে।
ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) এস এম নুরুল ইসলাম। সেখানে আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা হয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহম্মেদ বিশ্বাস আগুনে পুড়ে নিহত চারজনের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাবেয়া বেগম তাতে সম্মতি দেন।
মৃতদেহগুলো এতটাই পুড়ে গেছে যে সেগুলো দেখে পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি লাশের খোঁজে আসা স্বজনরা। এখন ডিএনএ পরীক্ষা করে তাদের পরিচয় শনাক্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পুরনো খবর