Published : 05 Jun 2025, 07:43 PM
প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি করা প্রসাধনী পণ্যের প্যাকেজিং শুল্কমুক্ত রাখার বিপরীতে দেশীয় উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে প্যাকেজিং আমদানির শুল্ক ’প্রায় ১২৮ শতাংশ’ আরোপের প্রস্তাবকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে মনে করছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন এএসবিএমইবি।
আমদানীকারকদের ‘সুবিধা দিয়ে উৎসাহিত’ করায় দেশি প্রসাধন উৎপাদন ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে দাবি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশের (এএসবিএমইবি)।
বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, “আমদানি পর্যায়ে প্রকৃত ক্রয়মূল্য গোপন করে ন্যূনতম ট্যারিফ মূল্যে শুল্কায়নের ফলে আমদানি করা রঙিন প্রসাধনী পণ্য সামগ্রীর আমদানি মূল্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রঙিন প্রসাধনী পণ্যের উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম হয়।
”যে কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রঙিন প্রসাধনী ও আমদানি করা পণ্যের মধ্যে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ অনুপস্থিত।“
এ কারণে রঙিন প্রসাধনী পণ্যের ন্যূনতম ট্যারিফ মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ‘নেট ওয়েটের’ পরিবর্তে ‘গ্রস ওয়েট’ বিবেচনায় নিয়ে কাস্টমস শুল্কায়ন করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এএসবিএমইবি’র সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন বলেন, “ব্ষ্যৈম্যমূলক নীতির কারণেই দেশে এতদিন কসমেটিকস শিল্প গড়ে ওঠেনি। সম্ভাবনাময় এই ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে, অপরদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।”
তাছাড়া দেশে উৎপাদন বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার অবচয় রোধ করে রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা আরও জোরদার করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।