Published : 02 Jun 2025, 09:21 PM
তৈরি পোশাকের দেশ বাংলাদেশে এবার নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও জুতা আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটে করা এই প্রস্তাবের ফলে বাজারে আমদানি করা ফ্যাশন সামগ্রীর দাম কিছুটা কমতে পারে।
পুরুষ ও নারীদের বিভিন্ন ধরনের আমদানি করা পোশাক ও জুতার আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৪৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- ছেলেদের শার্ট, জ্যাকেট, ব্লেজার, ট্রাউজার, ব্রেস ওভারঅল, ব্রিচেস, সিন্থেটিকের শর্টস ও অন্তর্বাসসহ বিভিন্ন পোশাক এবং জার্সি, পুলওভার, ওয়েস্টকোট, কার্ডিগান।
স্টকিং, মোজা ও এ ধরনের হোসিয়ারি পণ্য এবং শিশুদের পোশাকের শুল্কও ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।
একই হারে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে মেয়েদের পোশাকেও। ভেস্ট, ব্রিফ, প্যান্টি, ব্রেসিয়ার, বাথরোব, ড্রেসিং গাউন বা এ ধরনের পোশাক এবং শাল, স্কার্ফ, মাফলার, ম্যান্টিলাস (এক ধরনের ওড়না), নেকাব (ভেইল) বা এ ধরনের পোশাক এই শুল্কায়নের আওতায় আসবে।
বিভিন্ন ধরনের জুতারও দাম কমছে। রাবার, প্লাস্টিক, চামড়া বা কাপড়ের জুতোর আমদানি শুল্কও ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।
বৈশ্বিকভাবে তৈরি পোশাকের অন্যতম কেন্দ্র বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের নামী-দামী ব্রান্ডগুলো পোশাক বানিয়ে নিয়ে যায়।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৩৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ছিল ৩৮ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।