Published : 05 Nov 2023, 08:33 PM
আগামী বছরের হজ প্যাকেজ পুর্ননির্ধারণে খরচ কমাতে হজযাত্রীদের উড়োজাহাজ ভাড়া কারিগরি কমিটির মাধ্যমে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি। এ সংক্রান্ত চিঠি রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
গত ২ নভেম্বর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। এর মধ্যে উড়োজাহাজ ভাড়া বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বিষয়াদি বিবেচনায় উড়োজাহাজ ভাড়া আরও কমানো সম্ভব। যেহেতু বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের একক কর্তৃত্বে ভাড়া নির্ধারণ যথাযথ হয়নি বলে হাবের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ মনে করে।
আগামী বছরে হজযাত্রীদের ভাড়া সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা হতে পারে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে এয়ারলাইন্সগুলো প্রায় ৭৫ হাজার টাকায় ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রিটার্ন টিকেট বিক্রি করছে। সেগুলো প্রায় ২০ শতাংশ আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আগামী বছর হজে যাওয়া যাবে পৌনে ৬ লাখ টাকায়
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, “আপনি হজযাত্রীদের কল্যাণে সর্বদাই নিবেদিত এবং আধুনিক ও কল্যাণমুখী হজ ব্যবস্থাপনায় আপনার ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা কেবল আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।
“অতএব বর্তমান প্রেক্ষিত বিবেচনায় একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
হজের সময় প্রায় শতভাগ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট যায় জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, “খালি ফিরতি ফ্লাইটের পরিচালনা ব্যয়ও কম। সাধারণ ফ্লাইটের বিপণন ও সিস্টেম পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়, যা হজের ফ্লাইটে করতে হয় না। সে হিসাবে ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটের সর্বোচ্চ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা বিমান ভাড়া হতে পারত।”