Published : 20 May 2025, 10:07 PM
এক বছরে ৩৪ হাজার ৯৩৭ কেজি চা পাতা উত্তোলন করে এবারও জাতীয় চা দিবসে ‘শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী’র পুরষ্কার পাচ্ছেন ফটিকছড়ির নেপচুন চা বাগানের ৫৮ বছর বয়সী জেসমিন আক্তার।
ইস্পাহানী গ্রুপের মালিকানাধীন নেপচুন চা বাগানের চা উত্তোলনকারী জেসমিন ১৬ বছর বয়স থেকে এ বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই চা বাগানের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত।গতবারও তিনি শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী হিসেবে ‘জাতীয় চা পুরষ্কার‘পেয়েছিলেন।
বুধবার ঢাকার ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে এ পুরষ্কার দেওয়া হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে ‘জাতীয় চা পুরষ্কার‘দেওয়া হবে।
নেপচুন চা বাগানের ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রিয়াজ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের বাগানের শ্রমিক জেসমিন আক্তার দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী হিসেবে এ পুরষ্কার পাচ্ছেন।সারাদেশের ১৬৮টি বাগানের শ্রমিকদের মধ্য থেকে তিনি সেরার পুরষ্কার পাচ্ছেন, এটা আমাদের জন্য গর্বের।”
তিনি বলেন, প্রতিবছর জাতীয় চা দিবসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০২৪ সালে শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী হিসেবে জেসমিন আক্তার পুরষ্কার পাচ্ছেন।
চা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেসমিন আক্তার ২০২৪ সালে মোট ৩৪ হাজার ৯৩৭ কেজি চা পাতা তুলেছেন। তার আগের বছর তিনি ২৫ হাজার ২১৭ কেজি পাতা তুলেছিলেন।
ঘণ্টায় ৪৮ কেজি চা পাতা তোলার স্বীকৃতি জেসমিনের
দেশের বিভিন্ন বাগানের চা উত্তোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে থেকে বাছাই করে ফটিকছড়ির হালদাভ্যালি চা বাগানে চা পাতা উত্তোলনের প্রতিযোগিতা হয় গত ৮ মে।ওইদিন জেসমিন আক্তার আধা ঘণ্টায় ১৩ দশমিক ২৫ কেজি চা পাতা উত্তোলন করে শ্রেষ্ঠ পাতা চয়নকারী নির্বাচিত হন। আগের বছরে হওয়া প্রতিযোগিতায় জেসমিন আক্তার আধা ঘণ্টায় পাতা তুলেছিলেন ২৪ কেজি।
দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী জেসমিন ৪২ বছর ধরে নেপচুন চা বাগানে কাজ করছেন।দ্বিতীয়বারের মত পুরষ্কার পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমার পুরো পরিবার এই চা বাগানের সাথে সম্পৃক্ত। আমি পুরষ্কার পাওয়ায় খুশি লাগছে।”
এ বাগানেরই শ্রমিক উপলক্ষ্মী ত্রিপুরা ২০২২ সালে শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী হিসেবে জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
১৯৬০ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় ২৭০০ একর এলাকাজুড়ে এম এম ইস্পাহানি গ্রুপের মালিকানাধীন নেপচুন চা বাগান গড়ে ওঠে।