Published : 14 Sep 2024, 02:36 PM
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের চার মাস পর তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে ভারত।
শনিবার থেকে এ হার কার্যকর হয়েছে বলে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্যটির ন্যূনতম রপ্তানি মূল্যের শর্ত প্রত্যাহার করে, যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় শুল্ক কমানোর ওই নির্দেশনা জারি করে।
পেঁয়াজের দামে উল্লম্ফনের মধ্যেই রপ্তানি বিধিনিষেধ শিথিলের এ সিদ্ধান্ত নিল ভারত। গত জুলাইয়ে সেখানে পণ্যটির পাইকারি মূল্য ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ে, তার প্রভাবে অগাস্টে খুচরায় দাম বাড়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু লিখেছে, বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের কারণে পেঁয়াজ রপ্তানি বেড়ে যাবে, তাতে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাষিরা ভালো মুনাফা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছর অল্প বৃষ্টি হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ঘাটতির আশঙ্কায় ‘রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর’ রান্নাঘরের প্রধান এ পণ্যের রপ্তানি ডিসেম্বরে নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। এরপর মার্চে কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক অনুরোধে কিছু চালান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।
এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে পেঁয়াজের উচ্চমূল্য দেখা দেয়, কিন্তু রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভালো দাম না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন পেঁয়াজ চাষিরা।
তখনও রাজনৈতিক কারণে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৪ মে পণ্যটির রপ্তানি ক্যাটাগরি ‘নিষিদ্ধ’র পরিবর্তে ‘ফ্রি’ করা হয়।
সেই সঙ্গে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক এবং প্রতি টনের ন্যূনতম মূল্য ৫৫০ ডলার ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হলো।
এনডিটিভি জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে জুলাই পর্যন্ত ভারত ২ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে, যেখানে আগের অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৭ হাজার টন। দেশটিতে ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়কে অর্থবছর ধরা হয়।