Published : 21 May 2025, 05:56 PM
দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে চা রপ্তানি বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
চা শিল্পে শুল্ক ও কর নিয়ে অব্যবস্থপনা বন্ধের ইচ্ছার কথাও বলেছেন তিনি।
পঞ্চম জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে বুধবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা শ্রমিকদের কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছি চায়ের উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। এখানে বসেই ছোট্ট একটা হিসাব করে দেখলাম যদি নয় কোটি ত্রিশ লাখ কেজি চা উৎপন্ন হয়, বাজারে যে মূল্যমানে বিক্রি হয় তাতে খসড়াভাবে তিন হাজার সাতশ থেকে চার হাজার কোটি টাকার চা বাজারে বিক্রি হয়।
“একই সময়ে যদি স্ট্রিট ভ্যালুতে কনভার্ট করি তাহলে মিনিমাম ডাবল থেকে ট্রিপল একটি মূল্যমান দাঁড়াবে। অর্থাৎ ভোক্তা পর্যায়ে আট থেকে দশ হাজার টাকার ব্যয় সংগঠিত হয়।”
তিনি বলেন, “আমরা যদি এটার একটা সুষম বন্টন করতে পারি তাহলে চা শিল্পের যে দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি সেখান থেকে জাতীয় সম্পদ চা-কে রক্ষার উপায় খুঁজে বের করতে পারব।”
চা শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “চা শিল্পে বিভিন্ন রকম শুল্ক ও কর অব্যবস্থাপনা আছে, আমরা সেটিকে বন্ধ করতে চাই। এই শিল্পে ডিসিপ্লিন আনতে চাই। যাতে এর মাধ্যমে বাজারে পণ্যমূল্যে স্থিতিশীলতা আসে এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়।”
তিনি আরো বলেন, “চা শিল্পের জন্য যত পরিমাণ জমি আছে তার একটা উপযুক্ত ব্যবহার দরকার। এর অন্যান্য ব্যবহার, সেটা নবায়নযোগ্য জ্বালানি হোক অথবা পর্যটন কেন্দ্র হোক সেদিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে। তবে মূল লক্ষ্য হচ্ছে চা থেকেই চায়ের বাগানের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।”
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মইনুদ্দিন হাসান, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান, জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪ বিজয়ী চা শ্রমিক জেসমিন আক্তার এবং চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নৃপেন পাল।
অনুষ্ঠানে দেশের চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৮টি বিভাগে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৫ দেওয়া হয়।
জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে এবছর সর্বোচ্চ চা উৎপাদনকারী কারখানা ক্যাটাগরিতে দুইটি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।