Published : 21 Nov 2024, 10:44 PM
চিনি, তেল, পেঁয়াজ, আলুর মত নিত্যপণ্যের পর এবার রোজার মাসকে সামনে রেখে খেজুরের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম আয়করে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে আগাম কর।
বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে করভার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশে দাঁড়াল।
খেজুর ‘আমদানিনির্ভর ফল’ ও সব শ্রেণির মানুষের ইফতারে ‘অপরিহার্য উপাদান’ উল্লেখ করে এনবিআর জানায়, শুল্ক-কর হ্রাস করার ফলে মানভেদে কেজিপ্রতি আমদানি ব্যয় কমবে ৬০ থেকে ১০০ টাকা।
এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে, বাজারে বাড়বে সরবরাহ এবং দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে বলে মনে করে এনবিআর।
গত ১০ বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থাকায় আমদানিকারককে ওই আয়কর সমন্বয়ে বেশি হারে মুনাফা করতে হচ্ছে। খেজুর আমদানির পরে মূল্য সংযোজনের সুযোগ কম থাকায় অগ্রিম আয়কর ও ৫ শতাংশ আয়কর একদিকে ব্যবসার খরচ বাড়াচ্ছে, এতে বাড়ছে দর।
আমদানি-চাহিদাই বা কত
ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে, বাংলাদেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা প্রায় এক লাখ টন। এর মাঝে রোজার এক মাসে চাহিদা থাকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টন।
এ চাহিদার প্রায় পুরোটাই মেটে আমদানির মাধ্যমে।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৮৬ হাজার ৫৮১ টন খেজুর আমদানি হয়। প্রতি কেজিতে খরচ পড়ে ৩৩৬ টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয় ৮০ হাজার ৯১০ টন, প্রতি কেজিতে ব্যয় হয় গড়ে ৪৯৭ টাকা।
চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ২৮৯ টন খেজুর আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা, প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছে গড়ে ৪৩৩ টাকা।
এই খরচের তথ্যে শুল্ক ও করের হিসাব যোগ হয়নি।
সৌদি আরব, আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিশর, জর্ডান, ইরাক, ইরান এবং পাকিস্তান থেকেই বেশিরভাগ আমদানি হয়।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদর বলছে, বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকায়, সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়।
এক বছর আগের তুলনায় দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।