Published : 11 Jun 2024, 10:06 PM
বিদেশে সহযোগী ব্যাংকের ব্যবসায়িক সভা, গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি সম্পূর্ণ নিজস্ব ও বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে জরুরি প্রয়োজনসহ পাঁচ কারণে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিদেশে যেতে আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না।
মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণ বিষয়ে নতুন এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে ২০২২ সালে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় করতে সরকারি, আধাসরকারি, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফর সীমিত করা হয়।
এখন যেসব উদ্দেশ্যে ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণের শর্ত শিথিল করা হয়েছে, প্রজ্ঞাপনে সেগুলোর বর্ণনা দেওয়া রয়েছে। সেগুলো হল-
>> নিজস্ব অর্থায়নে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে, পবিত্র হজ পালন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারিশ থাকা সাপেক্ষে জরুরি চিকিৎসা গ্রহণ;
>> ব্যাংকে কর্মরত বিদেশি নাগরিকের নিজ দেশে গমন;
>> বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশের শাখায় কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রধান কার্যালয়ে গমন;
>> বিদেশে প্রতিসঙ্গী (সহযোগী) ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসায়িক সভায় অংশগ্রহণসহ দাপ্তরিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে- এরূপ সভায় অংশগ্রহণ;
>> বিদেশি আয়োজক সংস্থার সম্পূর্ণ অর্থায়নে পরিচালিত প্রশিক্ষণ/সেমিনার/ওয়ার্কশপ/স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণ।
নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিজেদের ‘বহিঃবাংলাদেশ (বিদেশ) ভ্রমণ নীতিমালা’ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিদেশ ভ্রমণের শর্তে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, অফশোর ব্যাংকের জন্য আমানত সংগ্রহ, বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ব্যাংকারদের বিদেশ যাত্রা বাড়তে পারে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
আগের বিধিনিষেধ অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে শুধু ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীদের বিদেশ ভ্রমণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
তবে ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে সব ধরনের বিদেশ যাত্রা গত ২০২২ সালের মে মাস থেকে বন্ধ রেখেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সামাল দিতে নিষেধাজ্ঞা এখনও বহালই থাকছে। তবে শুধু পাঁচটি কারণে এসব বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।