Published : 31 May 2025, 06:39 PM
বাড়তি ১৫ মিনিট সময় দিয়ে পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
শনিবার বিকাল সোয়া ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষের পর গণনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিরতিহীনভাবে সংগঠনের ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নেতৃত্ব ঠিক করতে ভোট দেন সদস্যরা।
বিকাল সোয়া ৫টায় ঢাকায় র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ভোট কেন্দ্রের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, “কোনো ভোটার থাকলে আমরা তাকে ঢুকতে দেব।”
তবে এসময় তার আহ্বানে কেউ সাড়া দেননি। সেখানে থাকা একজন পুলিশ সদস্যও ভোট দেওয়ার কেউ বাকি আছে কি না জানতে চান।
তাতেও কোনো সাড়া না পেয়ে মোহাম্মদ ইকবাল বলেন," সোয়া ৫টা বাজে। কোনো ভোটার পেলাম না।"
এ কথা বলে তিনি চলে গেলে ভোটকেন্দ্রের প্রবেশপথ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বন্ধ করে দেন পুলিশ সদস্যরা।
এরপর নির্বাচন বোর্ডের বড় পর্দায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৩৭৭ জন। ভোটের হার ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ। মোট ভোটার ১ হাজার ৫৬৪ জন।
অপরদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ভোট পড়ে ২৫৪টি বা ৮৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ কেন্দ্রে ভোটার ৩০৩ জন।
ভোটগ্রহণ শেষে গণনার পুরো কার্যক্রম সরাসরি বড় পর্দায় দেখায় বিজিএমইএ নির্বাচন বোর্ড। তিন প্যানেল জোটের প্রার্থীদের উপস্থিতিতে এটা করা হয়।
বিজিএমইএ প্রশাসক ও ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যথাসম্ভব কম সময়ে ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রার্থীরা মনে করছেন, দুই কেন্দ্রের ফল সংগ্রহ ও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে নির্বাচন বোর্ডের খুব বেশি সময় লাগবে না।
এবারে ৩৫টি পরিচালক পদে লড়ছেন তিন প্যানেলের ৭৬ জন প্রার্থী।
বিজয়ী পরিচালকরা প্রথম সভায় বিজিএমইএ সভাপতি, সহসভাপতিসহ অন্যান্য দায়িত্ব নির্ধারণ করবেন।
এবার ভোটে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সম্মিলিত জোট, ফোরাম প্যানেল ও ঐক্যজোট পরিষদ।
স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে ঢাকার কেন্দ্র র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের মিডিয়া কর্নারে স্থাপিত বড় পর্দায় প্রতি মুহূর্তের ভোট দেওয়ার সংখ্যা দেখানো হয়।
ক্ষমতার পালাবদলে পর্ষদ ভেঙ্গে দেওয়ার সাত মাসের বেশি সময়ের পর প্রশাসক ও ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হল বিজিএমইএ নির্বাচন।
বিজিএমইএ নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল।
এবার শুধু সচল কারখানার উদ্যোক্তাদের ভোটার করায় সংখ্যা আগের বছরের কমে হয় ১ হাজার ৮৬৪ জন।
এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৫৬১ জন ও চট্টগ্রামে ভোটার ৩০৩ জন। আগের নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ হাজার ৪৯৬ জন।
প্রার্থী কারা
সম্মিলিত পরিষদের ঢাকার প্রার্থী হয়েছেন– আবুল কালাম, ফারুক হাসান, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, আসিফ আশরাফ, মশিউল আজম সজল, মোস্তাজিরুল শোভন ইসলাম, আশিকুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. নুরুল ইসলাম, সৈয়দ সাদিক আহমেদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. শাহদাৎ হোসেন, মহিউদ্দিন রুবেল, রেজাউল আলম মিরু, আবরার হোসেন সায়েম, মোহাম্মেদ কামাল উদ্দীন, সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর, তামান্না ফারুক থিমা, মির্জা ফায়েজ হোসেন, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, লিথি মুনতাহা মহিউদ্দিন, এ কে এম আজিমুল হাই, মাঞ্জুরুল ফয়সাল হক, এস এম মনিরুজ্জামান ও মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান।
সম্মিলিত পরিষদের চট্টগ্রামের প্রার্থীরা হলেন– এস এম আবু তৈয়ব, রাকিবুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ মুসা, অঞ্জন কুমার দাশ, নাফিদ নবি, সৈয়দ মোহাম্মেদ তানভীর, মোস্তফা সারোয়ার রিয়াদ, মো. আবসার হোসেন ও গাজী মো. শহীদ উল্লাহ।
ফোরাম প্যানেলের ঢাকার প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, কাজী মিজানুর রহমান, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, ইনামুল হক খান, হাসিব উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ, ভিদিয়া অমৃত খান, মোহাম্মদ আব্দুল রহিম, শাহ রাঈদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম, এ বি এম শামছুদ্দিন, নাফিস উদ দৌলা, সুমাইয়া ইসলাম রোজালিন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মজুমদার আরিফুর রহমান, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, ফাহিমা আক্তার, আসেফ কামাল পাশা, রশীদ আহমেদ হোসাইনী, রুমানা রশীদ, সামিহা আজিম, রেজোয়ান সেলিম ও ফয়সাল সামাদ।
ফোরামের চট্টগ্রামের প্রার্থীরা হলেন– সেলিম রহমান, মোহাম্মদ সাইফ উল্যাহ মানসুর, মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী, এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাকিফ আহমেদ সালাম, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, মির্জা আকবর আলী চৌধুরী ও রিয়াজ ওয়াইজ।
অপরদিকে ঐক্যজোট পরিষদের প্রার্থী হলেন– মোহাম্মদ মহসিন, দেলোয়ার হোসাইন, খালেদ এমডি ফয়সাল ইকবাল, এ কে এম আবু রায়হান, এমডি মহসিন অপু ও শেখ এরশাদ উদ্দিন।
বিজিএমইএ নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল।