Published : 04 Jul 2024, 10:20 PM
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১১টি আন্তর্জাতিক রুট থেকে লাভ এলেও ছয়টি রয়েছে লোকসানে, যদিও এক্সেস ব্যাগেজের ওজন সমন্বয় করে চারটি রুট লাভে আনার চেষ্টা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কমিটির বৈঠকে বিমানের দেওয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা থেকে লন্ডন, টরন্টো, দুবাই, জেদ্দা, মদিনা, রিয়াদ, দাম্মাম, ব্যাংকক, কাঠমান্ডু, কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুর রুটের অপরাশেন থেকে লাভ আসছে।
আর ভাড়ার সঙ্গে এক্সেস ব্যাগেজের ওজন সমন্বয় করে লোড প্যানাল্টি কমিয়ে চারটি রুট লাভজনক করার চেষ্টা চলছে। সেগুলো হল- আবুধাবি, মাস্কাট, দোহা ও শারজাহ।
তবে ম্যানচেস্টার, কুয়েত, দিল্লি, কলকাতা, গুয়াংজু ও নারিতা রুট এখনও অলাভজনক রয়ে গেছে।
বিমানকে লাভজনক করতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রহণ করা বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন-টাইম পারফরম্যান্স ও যাত্রীপ্রতি রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে বলা হয়েছে, বোয়িং কোম্পানি থেকে নেওয়া নতুন উড়োজাহাজের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে যাত্রী সেবার মানে দৃশ্যমান উন্নয়ন করা হয়েছে। যাত্রী পরিবহণ সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ভাড়ার সঙ্গে এক্সেস ব্যাগেজ ওয়েট সমন্বয় করে লোড পেনাল্টি বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মাহমুদ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিমানের যে সব রুট লাভজনক নয়, সেসব রুট লাভজনক করতে নতুন কর্মপরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটের সেবার মান নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, বিমানের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে। নতুন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে মালে, কুনমিং, সিডনি, জাকার্তা, সিউল, উহান ও বাহরাইন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে নিউইয়র্কে পুনরায় ফ্লাইট পরিচালনার প্রচেষ্টা অব্যাহত হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনায় নতুন যেসব রুট রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, চট্টগ্রাম-যশোর-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম, ঢাকা-যশোর-কক্সবাজার-যশোর-ঢাকা এবং ঢাকা-বরিশাল-কক্সবাজার-বরিশাল-ঢাকা।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনবল থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় যেসব উড়োজাহাজে ত্রুটি আছে, তা শনাক্ত করে ত্রুটি অপসারণে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান, সদস্য বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, আনোয়ার হোসেন খান, আশেক উল্লাহ রফিক, শেখ তন্ময়, মাহমুদ হাসান ও মো. খসরু চৌধুরী।