Published : 30 Sep 2024, 04:58 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ‘বিদ্বেষ ছড়ানোর' প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যনারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে শামসুন্নাহার হলের সাবেক ভিপি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, “আমাদের দেশে এখনো ফ্যাসিবাদের প্রতিটি উপাদান রয়ে গেছে। এবং এই যে মবের তাণ্ডব ইতোমধ্যে ফ্যাসিবাদে রূপ নিয়েছে, তার একটি নগ্ন উদাহরণ হচ্ছে- সামিনা লুৎফা ম্যাম ও কামরুল হাসান মামুন স্যারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যে আক্রমণ করা হচ্ছে, সেটা।"
তিনি বলেন, “আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা সবসময় আমাদের পাশে থেকেছেন, গত ১৫ বছর ধরে তারা আমাদের পাশে থেকেছে আর কারা থাকবেন- আমরা সবই জানি। আমাদের এই শিক্ষকরা যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তাদেরকে নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে।
“কেন বারবার তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা হবে? আমার মতাদর্শের সাথে আরেকজনের মতাদর্শ নাই মিলতে পারে। এখানে বড় জোর আমি তাকে এড়িয়ে চলতে পারি। কিন্তু আমরা তার উপর আক্রমণ করতে পারি না। আমাদের বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন হতে হবে, নয়তো সব সময় আমরা অন্যের ব্যবহৃত বস্তু হিসেবে থেকে যাব।"
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে সম্প্রতি ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করে সরকার। ওই কমিটির সদস্য কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফাকে ‘ধর্মবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়ে ওই কমিটি থেকে অপসারণের দাবি তোলে ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতারা। সোশাল মিডিয়াতেও ওই দুই শিক্ষককে একই ধরনের ট্যাগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে শনিবার ওই কমিটিই বাতিল করে সরকার।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ বলেন, “আমরা এখানে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে দাঁড়াইনি। আমরা আমাদের শিক্ষকদের সাথে যে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাতে এখানে হাজির হয়েছি।
“আমরা এই ধরনের বিদ্বেষমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই ও রাষ্ট্রের কাছে আমাদের শিক্ষকদের সামাজিক ও ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাই।"