Published : 12 May 2025, 07:54 PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা প্রায় সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘আশা’ করছে, এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে।
বুধবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হবে সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
‘সমাবর্তন বক্তা‘ হিসেবে থাকছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। সমাবর্তনে তাকে সম্মানসূচক ‘ডি-লিট‘ (ডক্টর অব লিটারেচার) দেওয়া হবে।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এসে সমাবর্তনের বিস্তারিত তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সমাবর্তন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটোয়ারি বলেন, এবার ২২ হাজার ৫৮৬ জনকে সনদ দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ৪২ জন পিএইচডি ও ৩৩ জন এমফিল ডিগ্রিধারী রয়েছেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুর জাহান বেগম ও ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফয়েজ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সমাবর্তনের দিন ১০০টি বড় বাস চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সকাল ৬টা থেকে যাতায়াত শুরু করবে। নির্ধারিত শাটল ট্রেনে করেও অংশগ্রহণকারীরা আসবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েটরা সোম ও মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস চলাকালীন (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত) সমাবর্তনের গাউন সংগ্রহ করতে পারবেন। সমাবর্তনের দিন সকাল ৭টা থেকে বাকি গাউন দেওয়া হবে।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউট থেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীরা খাবার সংগ্রহ করবেন। তাদের প্রত্যেককে ব্যাগ, স্মরণিকা, কলম, পিন, ওয়ালেট ও কনভোকেশন টুপি দেওয়া হবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইন্সটিটিউট বুথে গাউন ফেরত দিয়ে মূল সনদ ও উপহার সামগ্রী সংগ্রহ করা যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তনে খরচ হবে ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তা হিসেবে যান। আমার জানামতে তিনি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যাননি। মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানিত করতে পারলে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পুরো বাংলাদেশ সম্মানিত হবে।”
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিনও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
চবির সমাবর্তনে যাচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি, সমাবর্তন বক্তা প্রধান উপদেষ্টা