Published : 19 May 2025, 12:44 AM
ক্যাম্পাসে নিজ কক্ষে এক ছাত্রীর উপস্থিতির যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেটাকে ‘পরিকল্পিত’ দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ।
রোববার সংবাদ সম্মেলনে এসে ওই শিক্ষক অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে লাখ টাকা নিয়েও ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এক সমন্বয়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিক এসআই সুমন ও সজীবকে দায়ী করেছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে ১১ মে। কিন্তু সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে ১৪ মে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হেদায়েত উল্লাহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষে এক ছাত্রীকে আটক করেন চারজন। এরপর বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। আর তদন্ত পর্যন্ত সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে।
এ ঘটনায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে রোববার নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন হেদায়েত উল্লাহ।
সেখানে তিনি দাবি করেন, ১১ মে বিকালে এক ছাত্রী একাডেমিক পড়াশোনার জন্য তার কক্ষে আসেন। ওই সময় চারজন সেখানে প্রবেশ করে হুমকি, ভিডিও ধারণ ও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। ওই দিন তিনি প্রায় এক লাখ টাকা দেন।
তিনি বলেন, পরের দিন তারা আরও দুই লাখ টাকা নেয় এবং নতুন করে দুই লাখ টাকা দাবি করে। সেই টাকা না দেওয়ায় তারা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়।
এদিক শুক্রবার মতিহার থানায় জিডি করেন ওই ছাত্রী। একই দিন ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনেও আসেন তিনি।
তার অভিযোগ, ওই চারজন তার গায়ে হাত তুলেছিলেন। তারা ওড়না ছিঁড়ে ফেলেন এবং হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন।
অভিযোগ ওঠা দুই সাংবাদিকও ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনৈতিক একটি ঘটনার প্রতিবাদ জানানো এবং সেটি প্রশাসনকে অবহিত করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।