Published : 18 Dec 2022, 05:21 PM
শতবর্ষ পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে ‘অসীমতার স্তম্ভে বিশালতা, অন্তর্ভুক্তি ও উদারতা’ শীর্ষক শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এই স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি স্থাপন করেন।
৭ হাজার ২০০ বর্গফুট আয়তনের ভূমির উপর ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬০ ফুট প্রস্থের বেদি হবে। মূল স্তম্ভের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট ও উচ্চতা ২৫ ফুট। এর ওয়াটার গার্ডেনের ব্যাস ৬০ ফুট ও গভীরতা ৫ ফুট।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্মৃতিস্তম্ভে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের প্রকাশ হিসেবে ১০০টি বাতি থাকবে এবং ২০টি ‘হিস্ট্রি প্যানেল’ নির্মাণ করা হবে। এখানে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা, সাইকেল স্ট্যান্ড, রিসাইকেল বিন, চার্জিং পয়েন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকবে। মনুমেন্ট নির্মাণের জন্য মলচত্বর এলাকার গাছপালা অক্ষত রেখে পেভমেন্ট, রোড, ড্রেন ও বৈদ্যুতিক কাজ সম্পন্ন করা হবে।
উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষায়িত জুরিবোর্ডের মাধ্যমে এই স্মৃতিস্তম্ভের স্থাপত্য নকশা নির্বাচন করা হয়েছে।
স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্জন, মৌলিক দর্শন ও মূল্যবোধকে অন্তর্ভুক্তকে করে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। এই স্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মিথষ্ক্রিয়া ঘটবে।
“নান্দনিক এই স্থাপনা নতুন ও অনাগত প্রজন্মের কাছে উদারনৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের বার্তা পৌঁছে দেবে এবং তারা এই স্থাপনা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্জন সম্পর্কে জানতে পারবে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন ও এই স্মৃতিস্তম্ভ নিমার্ণ কাজের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক নিসার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।