Published : 14 Feb 2024, 05:59 PM
চুয়েট ও বুয়েটের তিন শিক্ষার্থী ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস: বেস্ট আন্ডারগ্র্যাজুয়েট থিসিস’ পুরস্কার পেয়েছে।
এ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ফাহিম আশফাক ফারুকী এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মাহিয়া মুসতারী নওশীন ও ইসরাত জাহান।
মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) সেন্টারে বিজয়ীদের হাতে যথাক্রমে ১ লাখ, ৭৫ হাজার ও ৫০ হাজার টাকার চেক ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ইস্পাত প্রস্তুতকারক কোম্পানি কেএসআরএম ও আইএবি যৌথভাবে পঞ্চমবারের মতো সেরা গবেষণাপত্রের ভিত্তিতে প্রকল্প প্রদর্শনের মাধ্যমে তরুণ ও ভবিষ্যত স্থপতিদের এ পুরস্কার দিয়েছে।
এবার ৩৫ জন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর প্রজেক্টের মধ্য থেকে সেরা তিনজনকে বাছাই করে পাঁচজন স্থপতির জুরি বোর্ড।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে আইএবি সেন্টারে প্রজেক্টগুলোর প্রদর্শনী হয়। তিন দিনের প্রদর্শনী শেষ হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চমবারের মতো আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর দূরদর্শিতা ও মেধার ভিত্তিতে প্রতিযোগিদের মধ্যে তিনজনকে মনোনীত করা হয়।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
এ সময় তিনি বলেন, কেএসআরএম ও আইএবির এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ পুরস্কার শিক্ষার্থীদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানি এমন উদ্যোগে এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কেএসআরএম মার্কেট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখার মহাব্যবস্থাপক মো. আশফাকুল ইসলাম বলেন, “তারুণ্যের উচ্ছ্বল মনন আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিক নির্মাণের মূলশক্তি। এই সুন্দর মননগুলোকে চিনতে পারলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের স্বপ্ন আর আকাঙ্খা নির্মাণে তা সহায়ক শক্তি হিসেবেই কাজ করবে।“
অনুষ্ঠানে কেএসআরএমের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরী, গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক (ব্র্যান্ড) মনিরুজ্জামান রিয়াদ, অ্যাওয়ার্ড সমন্বয়কারী স্থপতি সৈয়দা সাইখা সুদাহ উপস্থিত ছিলেন।
আইএবির সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান বলেন, “বাংলাদেশে বতর্মানে যে মেগাস্ট্রাকচারগুলো উদ্বোধন করা হচ্ছে কিংবা যেগুলো নির্মাণাধীন রয়েছে সেগুলোর প্রেক্ষিতেও একই ভাবনা কাজ করে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ও জিডিপিতে অবদান রাখার মতো প্রতিটি মেগা প্রকল্পের অংশীদার হতে পারায় আমরা গর্বিত। আমি নিশ্চিত, তরুণ প্রজন্মের মনে লালিত হচ্ছে যে আগামী, তা প্রত্যেকের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টির ক্ষমতা রাখে।“
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে কেএসআরএম ও আইএবির মধ্যে ১০ বছরের সমঝোতা চুক্তির আওতায় আইএবি স্বীকৃত দেশের ১৩টি আর্কিটেকচার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্নাতক পর্যায়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সেরা তিন প্রতিযোগী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।