Published : 18 May 2025, 10:16 PM
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় গত পাঁচ বছরে কমিউনিটি উন্নয়নের নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার কথা বলেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ (এসসিবি)।
রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকটি জানিয়েছে, মূলত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা, কৃষি খাতকে শক্তিশালী করা, শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ানো, তরুণ উদ্যোক্তা গড়ে তোলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তারা সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতে ভূমিকা রাখছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু ব্যাংকিংয়ে সীমাবদ্ধ নয়। ২০২৪ সালে আমাদের সমাজসেবা কার্যক্রম দেশের নানা অঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে।
“কৃষক, যুবক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের সহায়তায় কাজ করা হচ্ছে। ম্যানগ্রোভ রোপণ থেকে শুরু করে কৃষি উদ্ভাবনে অর্থায়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে চোখের যত্ন নিশ্চিতকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।”
ব্যাংকটি বলছে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফুলের অপচয় কমে যাওয়ায় যশোরের ফুল চাষীদের নিয়ে কাজ করা কেএমএসএসের সদস্যদের মাসিক আয় গড়ে ২ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
হাওড় অঞ্চলের চাষীদের বন্যার সময়ে ফসলের ক্ষতি কমেছে। মৌমাছি চাষীদের বার্ষিক আয় বেড়েছে, স্মার্ট কৃষিতে অপচয় কমেছে। চরাঞ্চলে বেড়েছে মুরগি ও হাস পালন।
এছাড়া গাজিপুরে যুব দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যক্তিদের মাসে গড় আয় বেড়েছে ১০ হাজার টাকা।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং) বিটপি দাস চৌধুরী বলেন, “আমাদের অংশীদার ও কমিউনিটিগুলো সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের চালক। এ যাত্রায় তাদের পাশে থেকে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ বছরের প্রতিটি সাফল্য কেবল সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয় — প্রতিটি মাঠ, ঘর, পলিহাউস আর মৌচাকে গড়ে উঠেছে আশার গল্প, আত্মমর্যাদা আর টিকে থাকার অনুপ্রেরণা।“