Published : 29 May 2025, 09:33 PM
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে দেশের টেলিযোগাযোগ সেবার কোম্পানি রবি।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বুধবার রবির প্রধান কার্যালয়ে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন রবি, ইউনিলিভার, ম্যাকডোনাল্ডস, শান্তা হোল্ডিংস এবং শান্তা ফোরাম কমিউনিটির অন্যান্য কোম্পানির শতাধিক কর্মী।
রবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা, সমাজকল্যাণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সহায়তার জন্য রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে আসছে তারা; সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হল।
এই উদ্যোগে উপস্থিত থেকে রবির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তারা রক্তদাতাদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রক্তদাতাদের বিনামূল্যে ছয়টি স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান সৈয়দা মাসূমা রহমান বলেন, “থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাদের বেঁচে থাকা এবং সুস্থতার জন্য নিয়মিত রক্তসঞ্চালন প্রয়োজন। এই ধরনের উদ্যোগে করপোরেট কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ জীবন রক্ষাকারী এই সহায়তাকে টেকসই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
২০২৪ সালে থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের সর্বোচ্চ কর্পোরেট রক্তদাতা হিসেবে রবির অবদানের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতায় তাদের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, “রক্তদান কর্মসূচিতে যে অসাধারণ সাড়া পাওয়া গেছে, তাতে আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। এই উদ্যোগ স্বাস্থ্যসেবাসহ দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত থাকতে রবির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত বা বংশগত রক্তজনিত রোগ, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরির প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। তাতে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১.৮২ কোটি (১১.৪ শতাংশ) মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। বাংলাদেশে প্রতি বছর আনুমানিক ৬ থেকে ৮ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
থ্যালাসেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশনের (টিআইএফ) হিসাবে, বর্তমানে দেশে ৭০ হাজারের বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছেন।