ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ
Published : 31 Jan 2025, 11:22 PM
ব্যাটিংয়ে শুরুটা একদমই ভালো ছিল না। সাকিব মাহমুদের ছোবলে ১২ রানে ভারত হারিয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভাম দুবের অর্ধশতকে সেখান থেকেই বড় সংগ্রহ গড়ে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পাওয়ার প্লেতে খরুচে বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। রাভি বিষ্ণই ও হার্শিত রানার নৈপুণ্যে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেয় সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের দল।
পুনেতে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ১৫ রানে জিতেছে ভারত। ১৮১ রান তাড়ায় দুই বল বাকি থাকতে ১৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ডের ইনিংস।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত এগিয়ে ৩-১ ব্যবধানে। আগামী রোববার মুম্বাইয়ে হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ।
৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে বড় অবদান তরুণ লেগ স্পিনার বিষ্ণইয়ের। শিভামের কনকাশন সাব হিসেবে ঘটনাচক্রে অভিষেক হয়ে যাওয়া হার্শিত ৩ উইকেট নেন ৩৩ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসা সাকিব নাড়িয়ে দেন স্বাগতকিদরে। মেডেন নেওয়ার পাশাপাশি তিনি নেন ৩ উইকেট।
পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন স্যাঞ্জু স্যামসন। ডিপ থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পান তিলাক ভার্মা। ওভারে শেষ বলে সুরিয়াকুমারকে ফিরিয়ে গ্যালারি স্তব্ধ করে দেন সাকিব।
রিঙ্কু সিংকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আভিশেক শার্মা (১৯ বলে ২৯)। এই ওপেনাকে ফেরান আদিল রাশিদ। ঝড় তোলার আগেই রিঙ্কুকে বিদায় করেন ব্রাইডন কার্স।
একাদশ ওভারে ৭৯ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারানো দলকে টানেন শিভাম ও পান্ডিয়া। দুইজনই খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস।
৩০ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৫৩ রান করে পান্ডিয়া ফিরলে ভাঙে ৮৭ রানের জুটি। শেষ বলে রান আউট হওয়া শিভামের ৩৪ বলের ইনিংস গড়া দুই ছক্কা ও সাত চারে। দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ায় বড় ভূমিকা রাখা এই অলরাউন্ডার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
প্রথম ওভারের পর আর উইকেট পাননি সাকিব। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এই পেসারই ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার। ৩২ রানে ২ উইকেট নেন জেমি ওভারটন।
রান তাড়ায় সফরকারীদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বেন ডাকেট। পাওয়ার প্লের শেষ বলে বিস্ফোরক এই ওপেনারকে ফিরিয়ে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বিষ্ণই।
১৯ বলে এক ছক্কা ও সাত চারে ডাকেট করেন ৩৯ রান।
ফিল সল্টকে বোল্ড করে দেন আকসার প্যাটেল। জস বাটলারকে টিকতে দেননি বিষ্নই। ৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড।
মিডল অর্ডারে ছোবল দেন হার্শিত। দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই তিনি বিদায় করেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও জ্যাকব বেথেলকে।
প্রায় একার চেষ্টায় দলকে লড়াইয়ে রাখেন হ্যারি ব্রুক। পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। তাকে বিদায় করে সফরকারীদের বড় একটা ধাক্কা দেন ভারুন চক্রবর্তী। চারে নেমে দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে ব্রুক করেন ৫১ রান।
শেষের দিকে ওভারটন ও রাশিদ পরাজয়ের ব্যবধান কমান কেবল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৮১/৯ (স্যামসন ১, আভিশেক ২৯, তিলাক ০, সুরিয়াকুমার ০, রিঙ্কু ৩০, শিভাম ৫৩, পান্ডিয়া ৫৩, আকসার ৫, আর্শদিপ ০, বিষ্ণই ০*; আর্চার ৪-০-৩৭-০, সাকিব ৪-১-৩৫-৩, কার্স ৪-০-৩৯-১, ওভারটন ৪-০-৩২-২, রাশিদ ৪-০-৩৫-১)
ইংল্যান্ড: ১৯.৪ ওভার ১৬৬ (সল্ট ২৩, ডাকেট ৩৯, বাটলার ২, ব্রুক ৫১, লিভিংস্টোন ৯, বেথেল ৬, কার্স ০, ওভারটন ১৯, আর্চার ০, রাশিদ ১০*, সাকিব ১; আর্শদিপ ৩.৪-০-৩৫-১, পান্ডিয়া ১-০-১১-০, ভারুন ৪-০-২৮-২, আকসার ৩-০-২৬-১, বিষ্ণই ৪-০-২৮-৩, হার্শিত ৪-০-৩৩-৩)
ফল: ভারত ১৫ রানে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে ভারত ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: শিভাম দুবে