ভারত-নিউ জিল্যান্ড সিরিজ
Published : 24 Oct 2024, 06:35 PM
তিন উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের রান ১৯৭। পঞ্চাশ ছুঁয়ে অপরাজিত রাচিন রাভিন্দ্রা। নড়বড়ে শুরুর পর থিতু হয়ে গেছেন ড্যারিল মিচেল। পুনের টার্নিং উইকেটে তখন বড় সংগ্রহেই চোখ নিউ জিল্যান্ডের। সেখান থেকে ওয়াশিংটন সুন্দারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে কেবল ২৫৯ রান পর্যন্ত যেতে পারল সফরকারীরা।
শুরুর দিনেই নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দেওয়া ভারত বৃহস্পতিবার দিন শেষ করেছে কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে। শূন্য রানে ফিরে গেছেন অধিনায়ক রোহিত শার্মা।
শেষ বেলায় ১১ ওভার ব্যাটিং করে ওই একটি উইকেট হারানো ভারত করতে পেরেছে ১৬ রান। এখনও ২৪৩ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।
৩২ বলে ১০ রানে খেলছেন শুবমান গিল। ওপেনার ইয়াসাসভি জয়সওয়াল ২৫ বলে খেলছেন ৬ রানে।
দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রোহিতকে বোল্ড করে দেন সাউদি। দুই দল মিলিয়ে প্রথম দিনে পেসারদের সাফল্য এই একটিই। বাকি সময়ে আলো ছড়িয়েছেন স্পিনাররা।
৫৯ রানে ৭ উইকেট নিয়ে নিয়ে ফেরার টেস্ট রাঙিয়ে সবচেয়ে দ্যুতিময় ওয়াশিংটন। রাভিচান্দ্রান অশ্বিন ৩ উইকেট নিয়েছেন ৬৪ রানে।
এই ম্যাচের আগে ৪ টেস্টের ৭ ইনিংস মিলিয়ে কেবল ৬ উইকেট নিতে পেরেছিলেন ওয়াশিংটন। স্বাভাবিকভাবেই প্রায় ৪৫ মাস পর এই সংস্করণে খেলতে নামা অফ স্পিনারের এটাই সেরা বোলিং। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও তিনি প্রথমবার পেলেন ৭ উইকেট। আগের সেরা ছিল ৮৭ রানে ৬ উইকেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই টম ল্যাথামকে হারায় নিউ জিল্যান্ড। অশ্বিনের চমৎকার এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে যান সফরকারী অধিনায়ক।
উইল ইয়াংকে কট বিহাইন্ড করে সম্ভাবনাময় দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন অশ্বিন। এই উইকেটে বড় অবদান ফিল্ডার সারফারাজ খানেরও! তার জোরাল দাবির মুখেই কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে সফল হয় ভারত। গ্লাভসে মৃদু খোঁচার শব্দ সারফারাজ ছাড়া আর কেউ টের পাননি।
দ্রুত ২ উইকেট হারালেও ডেভন কনওয়ে ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাচিনের ব্যাটে সাবলীলভাবে এগিয়ে যেতে থাকে নিউ জিল্যান্ড। অশ্বিনের আপাত সাদামাটা এক বলে কনওয়ের বাজে শটে ভাঙে ৬২ রানের জুটি।
১১ চারে ১৪১ বলে কনওয়ে করেন ৭৬ রান।
মিচেলের সঙ্গে আরেকটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে দলকে দুইশ রানের কাছে নিয়ে যান রাচিন। এরপরই শুরু হয় ওয়াশিংটনের জাদু। তার অফ স্পিনে ৬২ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড।
দারুণ এক ডেলিভারিতে রাচিনকে বোল্ড করে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন ওয়াশিংটন। আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত চমৎকার ব্যাটিং করা কিউই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করেন ৬৫ রান। তার ১০৫ বলের ইনিংস গড়া এক ছক্কা ও পাঁচ চারে।
ওয়াশিংটনের স্পিনে বিভ্রান্ত নিউ জিল্যান্ড এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি। মিচেল স্যান্টনার (৫১ বলে ৩৩) ছাড়া শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৭৯.১ ওভারে ২৫৯ (ল্যাথাম ১৫, কনওয়ে ৭৬, ইয়াং ১৮, রাভিন্দ্রা ৬৫, মিচেল ১৮, ব্লান্ডেল ৩, ফিলিপস ৯, স্যান্টনার ৩৩, সাউদি ৫, এজাজ ৪, ও’রোক ০*; বুমরাহ ৮-২-৩২-০, আকাশ ৬-০-৪১-০, অশ্বিন ২৪-২-৬৪-৩, ওয়াশিংটন ২৩.১-৪-৫৯-৭, জাদেজা ১৮-০-৫৩-০)
ভারত ১ম ইনিংস: ১১ ওভারে ১৬/১ (জয়সওয়াল ৬*, রোহিত ০, গিল ১০*; সাউদি ৩-১-৪-১, ও’রোক ৩-২-৫-০, এজাজ ৩-১-৫-০, স্যান্টনার ২-০-২-০)