Published : 10 May 2025, 08:05 PM
নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) খেলা স্থগিত হওয়ার পর দেশে ফিরলেন রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। ইসলামাবাদে কাটানো শঙ্কাময় সময়গুলো মনে করে রিশাদ বললেন, মাত্র ২০ মিনিটের জন্য মিসাইল হামলায় পড়েননি তারা।
ইসলামাবাদ থেকে দুবাই হয়ে শনিবার বিকেলে বাংলাদেশে পৌঁছান রিশাদ ও নাহিদ। পরে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারার আনন্দের কথা বলেন রিশাদ।
ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের কারণে শুক্রবার একই দিনে স্থগিত করা হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ও পিএসএলের খেলা। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে রিশাদ ও পেশাওয়ার জালমির হয়ে খেলতে পাকিস্তান গিয়েছিলেন নাহিদ।
স্থগিত হওয়ার আগে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন রিশাদ। টুর্নামেন্টে অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন তরুণ পেসার। কিন্তু এর মধ্যেই পাকিস্তানে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় সেই অপেক্ষা আরও বেড়ে গেল নাহিদের।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে বুধবার প্রথম প্রহরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় হামলা চালায় ভারত। পর দিন রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ আরও বেশ কিছু জায়গায় ড্রোন হামলাও করে তারা।
তাই পিএসএলের বৃহস্পতিবারের ম্যাচ স্থগিত করা হয়। পরে ক্রমেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পরে সেটি থেকে সরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় পিএসএল।
নিরাপত্তা শঙ্কায় তড়িঘড়ি করে বিদেশি ক্রিকেটারদের পাকিস্তান থেকে নিরাপদে সরানোর ব্যবস্থা করে পিসিবি। শুক্রবার রাতে বিশেষ চার্টার্ড বিমানে ইসলামাবাদ থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হন রিশাদ, নাহিদরা।
রিশাদ বললেন, পাকিস্তান ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই মিসাইল হামলা হয় বিমানবন্দরে।
“আমাদের ফ্লাইট উড্ডয়ন করার ২০ মিনিট পর ওই বিমানবন্দরে একটা মিসাইল পড়েছে। মিসাইল পড়ার পর আমরা একটু শকড হয়ে গেছি। হয়তো আল্লাহ ভালো চেয়েছে বলেই আমরা দেশে ফিরে এসেছি।”
রাওয়ালপিন্ডিতে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে খেলার কথা ছিল পেশাওয়ার ও করাচি কিংসের। একই মাঠে পরদিন মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল রিশাদ ও নাহিদের দলের। কিন্তু ড্রোন হামলার পর পুরো পরিস্থিতিই বদলে যায়।
সেই শঙ্কাময় সময়ে নিজেদের অবস্থার কথাও বলেন রিশাদ।
“প্রথম যে পরিস্থিতি দেখেছি এবং শুনতে পেয়েছি... শোনার পর তো সবাই আতঙ্কিত হয়েছিলাম। ভয় কাজ করছিল। তবে সবাই সাপোর্ট করছিল দেশ থেকে, টিম ম্যানেজম্যান্ট থেকেও। বিসিবি থেকেও অনেক খোঁজখবর নিয়েছে সবসময়। পিসিবি ও পিএসএল টিমও খোঁজ নিয়েছে, আমরা ভালো আছে কি না।”
“স্বাভাবিকভাবেই নাহিদ রানা একটু ঘাবড়ে গেছে এবং একটু চুপচাপ ছিল। আমি চেষ্টা করেছি কীভাবে… ওকে বলছি টেনশনের কিছু নাই, আমরা দুজন আছি। আল্লাহ তো আছেই। কিছু হবে না ইনশাল্লাহ।”
সীমান্তরেখায় ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় পিএসএল আবার শুরুর সময় নিয়ে এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি পিসিবি। রিশাদ বললেন, আবার পিএসএল খেলতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তার।
“(পিএসএলের বাকি অংশে) খেলার তো ইচ্ছে সবসময় আছে। শিফট হয়ে যদি দুবাইতে আসে বা যদি এটা কন্টিনিউ হয়, চেষ্টা করব যাওয়ার।”