Published : 01 Apr 2025, 08:18 AM
আইপিএলে চার-ছক্কার খেলা চলছে আসরের শুরু থেকেই। তবে সুনিল গাভাস্কারের বিশ্বাস, সীমানার আকার একটু বাড়ানো হলে অনেক ছক্কাই পরিণত হবে আউটে। আরেকটি জায়গাতেও পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখেন তিনি। ম্যাচ শেষে স্পন্সরদের পক্ষ থেকে যে আর্থিক পুরস্কারগুলো দেওয়া হয়, সেসবও বাড়ানোর সময় হয়েছে বলে মনে করেন ভারতীয় কিংবদন্তি।
ছোট সীমানার ব্যাপারটি অবশ্য শুধু আইপিএলে নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে এখন অনেকটাই নিয়মিত দৃশ্য। বিশেষ করে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দর্শকদের চার-ছক্কার বিনোদন দিতে সীমানা ছোট রাখা হয়। অনেক মাঠের আকার অবশ্য এমনিতেই ছোট। বেঙ্গালুরের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, অকল্যান্ডের ইডেন পার্কের মতো অনেক স্টেডিয়ামে সীমানা বড় করার উপায় নেই। তবে অনেক মাঠে পর্যাপ্ত জায়গা থাকার পরও সীমানা ছোট রাখা হয়।
গাভাস্কারের আপত্তি এখানেই। মিড-ডে পত্রিকায় লেখা কলামে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক বললেন, সীমানা আরেকটু বড় রাখলে বোলারদের জন্য তা সহায়ক হতে পারে।
“পাওয়ার প্লেতে ব্যাটারদের খেলার ধরন প্রবলভাবে বদলে গেছে। যেটা বদলায়নি, তা হলো বাউন্ডারির আকার। এলইডি অ্যাডভার্টাইজিং বোর্ডের পেছনে জায়গা থাকে, সেগুলো আরও পেছনে ঠেলে দেওয়া যায়, তার পরও এটা হয়নি।”
“অনেক সময়ই আমরা দেখি, এমন কিছু ছক্কা হয়, যা কোনোরকমে সীমানা পার করে। যদি এলইডি বোর্ডগুলি আরেকটু পেছনে রেখে বাউন্ডারির সীমানা যদি কয়েক মিটার বাড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে ওই ছক্কাগুলোই পরিণত হতে আউটে। বোলাররা ছক্কা হজম করার পরিবর্তে উইকেট পেতে পারে।”
২০০৮ সালে আইপিএলের শুরুর আসরের তুলনায় এখন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, টুর্নামেন্টের বিভিন্ন স্বত্ব থেকে আয় করা অর্থ, দলগুলির আয়-ব্যয় থেকে শুরু করে আর্থিক দিকগুলোর অনেক কিছুই অভাবনীয় আকারে বেড়ে গেছে। কিন্তু একটি জায়গায় সেই শুরুর সময়ের অঙ্কই দেখছেন গাভাস্কার।
“আরেকটি জিনিসের আকার এখনও একই আছে, সেটি হলো ম্যাচ শেষে স্পন্সরদের বিভিন্ন আর্থিক পুরস্কার। টাইটেল স্পন্সরশিপ, অন্যান্য স্পন্সরশিপ, সম্প্রচার স্বত্ব থেকে আয় অবিশ্বাস্যরকমের বেড়েছে। কিন্তু ম্যান অব দা ম্যাচের পুরস্কার এখনও ২০০৮ সালের মতোই আছে। আইপিএল এখন সাবালক হয়েছে, এই প্রাইজমানিগুলোও বাড়ানো উচিত। আমরা যখন স্কুল শেষ করে কলেজে উঠেছি, আমাদের পকেটমানিও বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিভাবকরা।”
আইপিএলে এখন ম্যান অব দা ম্যাচের পুরস্কার একটি ট্রফির সঙ্গে ১ লাখ রুপি। এছাড়া সবচেয়ে বড় ছক্কা, সবচেয়ে বেশি ছক্কা, এরকম অনেক রকম পুরস্কার থাকে প্রতি ম্যাচেই। সবকটিরই পুরস্কার ১ লাখ রুপি।