Published : 28 May 2025, 01:04 AM
ডেলিভারির ঠিক আগ মুহূর্তে থেমে গেলেন দিগ্বেশ রাঠি। ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন দেখে বল না ছুড়ে হাত দিয়ে স্টাম্প ভেঙে রান আউটের আবেদন করলেন তিনি। সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাওয়ার পর টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, বোলার স্টাম্প ভাঙার সময় নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটসম্যান জিতেশ শার্মা ক্রিজের বাইরে। তবে লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক রিশাভ পান্ত শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নিলেন আবেদন। ‘বেঁচে যাওয়া’ সেই জিতেশই শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত রান তাড়ায় জেতালেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে।
ওই ঘটনাটা বেঙ্গালুরুর ইনিংসের সপ্তদশ ওভারে। জয়ের জন্য দলটির প্রয়োজন তখন ১৯ বলে ২৯ রান। পরের ওভারে দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন জিতেশ। পরে আরেকটি ছক্কায় ম্যাচের ইতি টেনে দেন তিনি ৮ বল বাকি থাকতে।
চলতি আইপিএলে প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচটিতে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর জয় ৬ উইকেটে।
এই জয়ে এখন শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্লে-অফে খেলবেন ভিরাট কোহলিরা। তাই ফাইনালে যাওয়ার দুটি সুযোগ পাবেন তারা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংস।
২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বেঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক জিতেশ। আইপিএলে নিজের প্রথম ফিফটিতে ৬ ছক্কা ও ৮ চারে ৩৩ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। তার সঙ্গে ২৩ বলে ৪১ রানের ইনিংসে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। শুরুতে ৩০ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে ভিত গড়ে দেন কোহলি।
টি-টোয়েন্টিতে বেঙ্গালুরুর সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড এটি। ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল তাদের আগের রেকর্ড।
জিতেশের বীরত্বে আড়ালে পড়ে গেল রিশাভ পান্তের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। আসর জুড়ে ব্যর্থতার পর এ দিন ৮ ছক্কা ও ১১ চারে ৬১ বলে অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন লাক্ষ্ণৌ অধিনায়ক।
লাক্ষ্ণৌতে কোহলির বিদায়ের পর জিতেশ যখন উইকেটে যান, তখনও বেঙ্গালুরুর দরকার ৫২ বলে ১০৫ রান। সেখান থেকে তিনি একাই ৮৫ রান করে দলকে এনে দিলেন দুর্দান্ত জয়।
প্রথম বলে চার মেরে ডানা মেলে দেন জিতেশ। চতুর্দশ ওভারে পরপর ছক্কা ও চার মারেন উইল ও’রোককে। পরের ওভারে শাহবাজ আহমেদের চার বলের মধ্যে মারেন দুটি চার ও একটি ছক্কা।
টানা দুটি চার মারেন আভেশ খানকে। লেগ স্পিনার রাঠিকে ছক্কায় উড়িয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন স্রেফ ২২ বলে। ওই ওভারেই নন-স্ট্রাইক প্রান্তে তাকে রান আউটের আবেদন ও তা প্রতাহারের সেই ঘটনা।
পরের দুই ওভারে জিতেশের আরও তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ম্যাচের সমাপ্তি।