Published : 04 Jun 2025, 02:16 PM
অর্ধেক দায়িত্ব ছেড়ে বাকি অর্ধেকটুকু ভাবার জন্য সময় নিয়েছিলেন গ্যারি স্টেড। সেই ভাবনা শেষে তার উপলব্ধি, সময় হয়েছে পুরোপুরিভাবেই চলে যাওয়ার। নিউ জিল্যান্ডের কোচ হিসেবে সাফল্যময় সাত বছর কাটিয়ে অবশেষে বিদায় নিচ্ছেন ৫৩ বছর বয়সী কোচ।
গত এপ্রিলে সাদা বলের ক্রিকেটে নিউ জিল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানান স্টেড। টেস্ট দলের কোচ হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই মাসেই। বুধবার তিনি জানালেন, চুক্তি আর নবায়ন করবেন না।
দায়িত্ব থেকে বিদায় নিলেও নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটে তার প্রভাব রয়ে যাবে সবসময়। দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সময় যে এসেছে তার কোচিংয়েই!
তার হাত ধরেই ২০২১ সালে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল নিউ জিল্যান্ড। কিউই ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা সাফল্য সেটি। এর আগে ২০০০ সালে আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ (এখনকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) ছিল নিউ জিল্যান্ডের একমাত্র বড় সাফল্য।
এছাড়াও নিউ জিল্যান্ড প্রথমবার টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠে তার সময়েই। গত অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আসে কিউইরা, টেস্ট ইতিহাসে যে কীর্তি নেই আর কোনো দলের।
অন্য দুই সংস্করণেও তার দায়িত্বে এসেছে সাফল্য আর ধারাবাহিকতা। ২০১৮ সালে মাইক হেসনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ওপর চাপ ছিল নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটের সেই গতি ধরে রাখার। তিনি হেসনকেও ছাড়িয়ে দলকে নিয়ে যান নতুন উচ্চতায়।
২০১৯ বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলে ফাইনালে ওঠে নিউ জিল্যান্ড। রুদ্ধশ্বাস সেই ফাইনালে তার দল হেরে যায় স্রেফ বাউন্ডারি কম মারায়।
তার কোচিংয়ে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফাইনালে খেলে নিউ জিল্যান্ড। এছাড়াও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলে তারা।
স্টেডের সময়ে দীর্ঘদিন অধিনায়ক থেকে একসঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন যিনি, সেই কেন উইলিয়ামসন বিদায়ী শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন কোচের প্রতি।
“দলের জন্য একদম সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন স্টেডি (স্টেড)। ব্ল্যাকক্যাপদের বেড়ে ওঠা ও সাফল্য দেখার জন্য তার চেয়ে কঠোর পরিশ্রমী ও তাড়নাময় কেউ আর ছিল না। পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে তিনি সবসময় ছিলেন বিশদ ও নিখুঁত এবং আমাদের সেরা কোচদের একজন হয়ে থাকবেন, তবে মানুষ হিসেবে তিনি আরও ভালো।”
নিউ জিল্যান্ডের দায়িত্ব ছাড়ার পর কিছুদিন বিশ্রামে থাকার কথা জানিয়েছেন স্টেড। এরপর চাঙা ও তরতাজা হয়ে আবার ফিরতে চান কোচিংয়ে।
স্টেড যখন সাদা বলের কোচের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন, তখন ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ড পরিকল্পনা করছিল সংস্করণভেদে আলাদা কোচের। এখন সেই পরিকল্পনা বদল করে একজন কোচই নিয়োগ দিতে পারে তারা।