Published : 08 May 2025, 07:13 PM
দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)। আসরের বাকি ম্যাচগুলো পাকিস্তানে হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে এদিন করাচি কিংসের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল পেশাওয়ার জালমির। পেশাওয়ারের হয়ে টুর্নামেন্টটিতে খেলতে গেছেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানা।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের খবর, বাকি ম্যাচগুলো দুবাই বা দোহায় সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে অধিক ব্যয়ের কারণে সেই সম্ভাবনাও কম।
পিসিবির একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার ক্রিকবাজকে বলেন, “পিসিবি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে এবং পিএসএলের কিছু ম্যাচের সূচি পুনঃনির্ধারণ করা হবে। বিষয়গুলো চূড়ান্ত হলে জানানো হবে।”
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় ড্রোন হামলায় রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে দিনভর ভারী বৃষ্টির কারণে এদিন রাতে এখানে করাচি ও পেশাওয়ারের ম্যাচ হওয়া নিয়ে এমনিতেও শঙ্কা ছিল। ম্যাচ স্থগিত করার কথা বিকেলে বিবৃতি দিয়ে জানায় পিসিবি।
প্রাথমিক পর্বের চারটিসহ আসরের বাকি আট ম্যাচ হওয়ার কথা রাওয়ালপিন্ডি, মুলতান ও লাহোরে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর, ম্যাচগুলো করাচিতে সরিয়ে নেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে পিসিবি।
পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররা উদ্বিগ্ন বলেও খবর আসছে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ থেকে খেলতে গেছেন নাহিদ ও রিশাদ হোসেন। টুর্নামেন্ট শেষ না করেই দেশে ফিরে আসতে পারেন তারা।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যার দায় পাকিস্তানের ওপর দিচ্ছে ভারত সরকার। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা।
পেহেলগামে ওই সন্ত্রাসী হামলার ‘বদলায়’ মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে হামলা চালায় ভারত। তার পাল্টায় গোলাবর্ষণসহ সামরিক জবাব দেয় পাকিস্তানও।
ভারত সরকার জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাত ও বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চন্ডিগড় ও অন্যান্য স্থানের সামরিক স্থাপনাকে নিশানা বানিয়ে পাকিস্তানের হামলাচেষ্টার প্রত্যুত্তরে ভারতীয় বাহিনীগুলো লাহোরসহ একাধিক স্থানে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা রাডার ও ব্যবস্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।
এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে ৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।