Published : 20 Feb 2025, 05:14 PM
এই শহর, এই মাঠ মিশে আছে মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারের গৌরবময় এক কীর্তির সঙ্গে। ২০১৮ এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে এই দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। অনেকের মতেই যেটি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ইনিংস। সেই আঙিনায় এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উল্টো স্বাদ পেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
ভারতের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার যখন ক্রিজে গেলেন মুশফিক, তখনও রয়ে গেছে তানজিদ হাসানের বিদায়ের রেশ। ক্যারিয়ারে অনেকবারই দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন তিনি। কিন্তু এ দিন স্রেফ ক্রিজে গেলেন আর ড্রেসিং রুমে ফিরলেন। প্রথম বলেই আউট!
বাংলাদেশ দলের বিপদ তাতে বাড়ল আরেকটু। মুশফিক আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের দিকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডে এখন যৌথভাবে দুইয়ে মুশফিক। ভারতের বিপক্ষে আকসার প্যাটেলের বলে কিপারকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে আউট হয়ে তিনি স্পর্শ করেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।
এই দুজনেরই এখন শূন্য ৩৩টি।
বাংলাদেশের হয়ে এই রেকর্ডে সবার ওপরে আছেন তামিম ইকবাল। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৬ বার শূন্যতে ফেরার তেতো স্বাদ পেয়েছেন দেশের সফলতম ওপেনার।
তামিমের আগে রেকর্ডটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। ৩১ বার শূন্যতে ফিরেছেন তিনি। সাকিব আল হাসান রান না করেই আউট হয়েছেন ২৭ ইনিংসে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার বিশ্বরেকর্ড মুত্তাইয়া মুরালিদারানের। তিন সংস্করণ মিলিয়ে মোট ৫৯ বার শূন্যতে কাটা পড়েছেন শ্রীলঙ্কার স্পিন কিংবদন্তি। ৫৪ বার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে কোর্টনি ওয়ালশের, ৫৩ বার সানাৎ জায়াসুরিয়ার।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের শূন্যের তালিকায় অবশ্য বেশ পেছনেই আছেন মুশফিক। এই সংস্করণে ১২বার খালি হাতে ফিরলেন তিনি। যৌথভাবে যা বাংলাদেশের পঞ্চম। এখানে তার সঙ্গী সাকিব ও আব্দুর রাজ্জাক। ১৯ বার শূন্যতে থমকে গিয়ে ওয়ানডেতেও রেকর্ডে সবার ওপরে তামিম।