Published : 22 May 2025, 09:01 AM
দুই ম্যাচের সিরিজ যখন তিন ম্যাচে রূপ নিল, তখনও দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরুই হয়নি। প্রথম ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল সিরিজে। কিন্তু তখন থেকেই সিরিজ জয়ের বিশ্বাস ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের! আলিশান শারাফু বললেন এমনটিই। ম্যাচ একটি বাড়ানোর খবর জানার সময় থেকেই ড্রেসিং রুমে সিরিজ জয়ের আলোচনা করেছেন তারা।
যেমন ভাবনা, তেমনই কাজ। দ্বিতীয় ম্যাচে ২০৫ রানের পাহাড় টপকে জিতে যায় তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে যা তাদের প্রথম জয়। ম্যাচ জয়ের সেই পথ ধরে তৃতীয় ম্যাচে তারা জিতে নেয় সিরিজ। এবার জয় সাত উইকেটে। ৬৮ রানে দারুণ ইনিংস খেলে এই জয়ে ম্যাচ-সেরা আলিশান।
শুরুতে দুই ম্যাচের সিরিজ হওয়ার কথা থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বাড়ানো হয় একটি ম্যাচ। তখন থেকেই সিরিজ জয়ের স্বপ্নের বুনন শুরু, ম্যান অব দা ম্যাচ হয়ে বললেন আলিশান।
“সবাই খুবই উচ্ছ্বসিত। তৃতীয় ম্যাচটির ঘোষণা যখন দেওয়া হলো, সবাই তখন থেকেই আশাবাদী ছিল। ড্রেসিং রুমে আমরা কথা বলেছি যে, জিততে পারি। একটি করে ম্যাচ ধরে এগোতে চেয়েছি আমরা এবং সবকিছু সেভাবেই হয়েছে।”
২০২৩ সালে নিউ জিল্যান্ডকে একটি টি-টোয়েন্টিতে হারিয়েছিল আরব আমিরাত। কিন্তু সিরিজ জিততে পারেনি সেবার তারা। সেই অপূর্ণতা এবার তারা ঘুচিয়ে দিল।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ একবারই পেয়েছিল আমিরাত। ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিল ২-১ ব্যবধানে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সাফল্য আরও বড়। অধিনায়ক মুহাম্মাদ ওয়াসিমের উচ্ছ্বাসও তাই আকাশ ছোঁয়া।
“আমি খুবই খুশি এই জয়ে। অভিনন্দন জানাই আমাদের ম্যানেজমেন্ট, আমাদের বোর্ডকে, ধন্যবাদ জানাই কোচিং স্টাফ, প্রধান কোচ, ফিজিও, অ্যানালিস্ট, ট্রেনার, প্রত্যেককে। আমি খুবই খুশি ইতিহাস গড়তে পেরে।”
“এই সিরিজ জয়ের অর্থ আমাদের কাছে বিশাল। ভবিষ্যতে এটা আমাদের সহায়তা করবে। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, আলিশান, আসিফ, রাহুল ব্যাট করেছে যেভাবে, হায়দার যেভাবে বোলিং করেছেন, খুবই খুশি আমি। এমন একটি দিনের প্রতিক্রিয়া প্রকাশের ভাষা নেই আমার।”
আরব আমিরাতের ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা মূলত ওয়াসিমই। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটি করেন তিনি, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪২ বল ৮২ রান করে তিনিই দলকে এগিয়ে নেন জয়ের পথে। তবে শেষ ম্যাচে তিনি আউট হয়ে যান মাত্র ৯ রান করেই। বাংলাদেশের উল্লাস দেখে মনে হতে পারে, ম্যাচই তারা জিতে গেছে তখন।
তবে নিজে দ্রুত আউট হলেও অধিনায়কের বিশ্বাস ছিল, তার দল পারবে জিততে।
“সত্যি বলতে, আমরা আশা হারাইনি। সবাইকে বলছিলাম যে আমরা জিততে পারি। এই কন্ডিশনে আমরা অভ্যস্ত। বিশ্বাসটা ছিল আমাদের। খুবই খুশি আমি।”
আলিশান শারাফু ও আসিফ খানের ৫১ বলে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করে আমিরাত। ম্যাচের প্রথম ভাগে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন এই সিরিজেই অভিষিক্ত হায়দার আলি (৪-১-৭-৩)।
আরব আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সাফল্যগুলির একটি এই সিরিজ জয়।।