Published : 06 Jan 2025, 07:14 PM
এবারের বিপিএলে এতদিন না থেকেও ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি কেন নেই, সেই আলোচনা ছিল নিত্যই। এবার তার শারীরিক উপস্থিতিও দেখা গেল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার অনুশীলন করলেন ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত বিপিএলে একটা আশ্রয় খুঁজে পেয়েছেন তিনি। এখানে আলো ছড়িয়ে সামনের আঁধারও দূর করার পথে ছুটতে চান অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
এবারের বিপিএলের ড্রাফটে সবচেয়ে আলোচিত ব্যাপারগুলির একটি ছিল মোসাদ্দেকের দল না পাওয়া। গত আসরটি যদিও ব্যাটে-বলে বেশ বাজে কেটেছিল তার। তবে ব্যাটিং ও বোলিং মিলিয়ে মোসাদ্দেক যে প্যাকেজ, বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেটি উপেক্ষা করা কঠিন। কিন্তু কোনো দলই তার প্রতি আগ্রহী হয়নি ড্রাফটে।
ঘরোয়া ক্রিকেট মোসাদ্দেককে শীর্ষ ক্রিকেটারদের একজন ধরা হয়। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে দলগুলিকে নেতৃত্ব দেন নিয়মিতই। গত বিপিএলেও ছিলেন দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক। সেখান থেকে এবার দল না পাওয়াটা ছিল তার জন্য বড় একটি ধাক্কা।
ধাক্কা খেয়ে বিপিএল শুরু করেছে ঢাকা ক্যাপিটালসও। প্রথম তিন ম্যাচেই হেরেছে নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তাদের একাদশে কার্যকরর একজন অফ স্পিনারের ঘাটতিও ছিল। কোচ খালেদ মাহমুদের মনে পড়ে মোসাদ্দেকর কথা। ব্যস, বিপিএলের আঙিনায় আবার পা পড়ে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের।
দলের সঙ্গে প্রথম দিনের অনুশীলনের পর ভালো করার প্রত্যয় শোনা গেল ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের কণ্ঠে।
“(ড্রাফটে দল না পেয়ে) হতাশা তো অবশ্যই ছিল। এনসিএল টি-টোয়েন্টির সময়ও বলেছিলাম যে, এটা হতাশাজনক আমার জন্য। ওই সময়টাতে সামনে যে খেলাগুলো ছিল, সেগুলোর ওপর ফোকাস করছিলাম। ওই সময় যে খেলাগুলো ছিল তাই খেলছিলাম। কিন্তু আসলে ওই আশাটা ছিল যে, হয়তো একটা সুযোগ আসতে পারে। সেটা যখন আসছে, অবশ্যই ভালো লাগছে। একটা সুযোগ নতুন করে আবার ভালো খেলার। ভালো খেলার সুযোগ যদি এখানে থাকে, এখানে ভালো খেলতে পারলে অবশ্যই সামনে ভালো সুযোগ আসবে।”
গত বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে মোসাদ্দেকের পারফরম্যান্স মোটেও দুর্দান্ত ছিল না। ৯ ম্যাচে ১৩ গড়ে ৯১ রান করতে পেরেছিলেন ৯২.৮৫ স্ট্রাইক রেটে। বল হাতে ওভারপ্রতিসাড়ে আটের বেশি রান দিয়ে উইকেট নিতে পেরেছিলেন মোটে ৩টি।
তবে পেছনের হতাশার হাওয়া গায়ে লাগছে দিচ্ছেন না মোসাদ্দেক। বরং তিনি তাকিয়ে সামনের সম্ভাবনার দিকে।
“এটা হতে পারে একজন খেলোয়াড়ের একটা বছর বা মৌসুম খারাপ যেতে পারে। ওটা নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত না। আমি চিন্তা করছি, যখনই সুযোগ আসবে অবশ্যই ভালো খেলার। যখন সুযোগ পাব, চেষ্টা করব দলে অবদান রাখার। আমার নিজের পারফরম্যান্সের দিকে অবশ্যই সেই ফোকাস থাকবে, আমি যতটুকু ভালো এখানে খেলব, পরবর্তীতে দরজাগুলো খুলতে থাকবে।”
দরজাগুলোর মধ্যে নিশ্চয়ই জাতীয় দলও থাকছে তার দৃষ্টিসীমায়। তবে আপাতত তার ভাবনায় ঢাকা ক্যাপিটালস। হ্যাটট্রিক হারে আসর শুরু করা দলকে জয়ের পথে আনতে চান তিনি।
“একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যদি দল মোমেন্টাম না পায়, তাদের জন্য একটু কঠিন হয়। চেষ্টা করব দল হিসেবে যদি মোমেন্টাম পায়, ভালো করার সুযোগ আছে। দল হিসেবে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর ওই সুযোগ তৈরি হয়ে যাবে আমার মনে হয়। যদি আমি সুযোগ পাই, আমার ইচ্ছে আছে দলকে ১০০ ভাগ দেওয়ার। দলে যতটুকু অবদান রেখে ম্যাচ জেতাতে সহায়তা করা যায়।”