Published : 07 Oct 2020, 05:53 PM
ওয়ানডে সিরিজের তিন দলের প্রতিটির মূল স্কোয়াডে আছে ১৫ জন করে। সেই ৪৫ জনে ঠাঁই হয়নি মেহেদি রানার। তাকে রাখা হয়েছে তামিম ইকবাল একাদশের স্ট্যান্ড বাই তালিকায়। প্রতি দলেই স্ট্যান্ড বাই আছেন তিনজন করে ক্রিকেটার।
গত বিপিএলে ১০ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদি রানা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ফাইনালের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ায় তার অবদান ছিল বড়। পরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাকে দলে নেয় চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। লিগের প্রথম ম্যাচে পারটেক্সের বিপক্ষে নেন তিনি ৪ উইকেট। এরপর কোভিড-১৯ এর জন্য স্থগিত হয়ে যায় লিগ।
কোভিড বিরতির পর যখন ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু হয়, মেহেদি রানা অনুশীলন শুরু করেছিলেন শুরুর দিকেই। পরে স্কিল ক্যাম্পের ২৭ জনের দলে তাকে রাখা হয়নি। সেটা খুব বিস্ময়কর কিছু ছিল না। ওই ক্যাম্পের দল গড়া হয়েছিল সম্ভাব্য শ্রীলঙ্কা সফরে তাকিয়ে মূলত বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটকে ভাবনায় রেখে। মেহেদি রানার বোলিং বেশি উপযোগী সীমিত ওভারের জন্য।
তবে ওয়ানডে সিরিজের দলে ২৩ বছর বয়সী এই পেসারের জায়গা না পাওয়া বেশ বিস্ময়করই। রাখা হয়নি তাকে হাই পারফরম্যান্স দলেও। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাকে দলে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
“রানাকে রাখা যেত অবশ্যই। তবে আমরা তো আসলে ওর বোলিং সম্পর্কে জানি। তাই অন্যদের একটু দেখতে চেয়েছি। এই ধরুন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম, ওরা সবাই খুব সম্ভাবনাময়। ওদের পেস ভালো, ইম্প্যাক্ট বোলার হতে পারে বলে আমরা মনে করি। এই টুর্নামেন্ট তো অফিসিয়াল ম্যাচ-ট্যাচ নয়, ওদেরকে পরখ জন্য তাই এটা ভালো প্ল্যাটফর্ম বলে আমাদের মনে হয়েছে।”
‘পেস’ ও ‘ইম্প্যাক্ট’ ব্যাপার দুটিতে যথেষ্ট জোর দেওয়া হচ্ছে এবং সামনেও হবে, তা স্পষ্ট করে দিলেন হাবিবুল।
“এটা নিয়ে তো কোনো সংশয় নেই যে বাড়তি পেস খুব জরুরি। বিশেষ করে দেশের বাইরে ভালো করতে হলে গতিময় ও ইম্প্যাক্ট রাখার মতো পেসার লাগবে। আমরা সে ধরনের পেসার খুঁজছি ও সেভাবেই গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। গড়পড়তা গতির কিংবা স্লোয়ার-কাটার নির্ভর পেসার আমরা বরাবরই পাই। এই ধরনের বোলারও প্রয়োজন আছে, পাশাপাশি বল ক্যারি করাতে পারে, দ্রুত ইম্প্যাক্ট রাখতে পারে, এমন পেসারও খুঁজছি আমরা।”
“এইচপি স্কোয়াডে যদি তাকান, ওখানে শরিফুল, অভিষেক, মৃত্যুঞ্জয়, মুকিদুল, ওদের সবাই উচ্চতা ভালো। সহজাত গতি বেশ। এখন ওদেরকে আরও ঘষামজা করে গড়ে নিতে হবে। ওদেরও প্রবল চেষ্টা থাকতে হবে।”
তবে মেহেদি রানার সম্ভাবনাও একেবারে বাতিল করে দিচ্ছেন না হাবিবুল।
“ওয়ানডে সিরিজে ওকে স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে, তার মানে খেলার সুযোগ পেতেও পারে। সামনে কর্পোরেট টি-টোয়েন্টিতে নিশ্চিতভাবেই সুযোগ পাবে। আমাদের বিবেচনায়ও ভালোভাবেই আছে ওর নাম। যেটি বলেছি, এই ধরনের পেসারও আমাদের লাগবে। সব ধরনের বিকল্প হাতে রাখতে হবে। রানার হতাশ হওয়ার কিছু নেই, ওর সুযোগও আসবে।”