Published : 01 Jan 2022, 04:05 PM
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউ জিল্যান্ড ১ রানে অধিনায়ক টম ল্যাথামকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং। ৫২ রানে ইয়াং রান আউট হওয়ার পর রস টেইলরের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি হয় কনওয়ের।
পরে টেইলর আলগা শটে ৩১ রানে ফিরলেও কনওয়ের সঙ্গে হেনরি নিকোলসের জুটিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল নিউ জিল্যান্ডেরই। বাংলাদেশ জুটি ভাঙতে অপেক্ষায় ছিল দ্বিতীয় নতুন বলের। মূল বোলারদের বিশ্রাম দিতেই হয়তো তাই নিজে বল তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দ্বিতীয় নতুন বল পাওয়ার ঠিক আগের ওভারে মুমিনুল ডেলিভারি করেন লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে। যত বাজে বল, তার চেয়েও বাজে শট খেলে কিপারের হাতে ধরা পড়ে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন কনওয়ে। বাংলাদেশের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে থাকা ব্যাটসম্যান ফেরেন ১২২ রানে।
এরপর নিকোলসের সঙ্গে দিনের খেলা শেষ করার কাছাকাছি ছিলেন কিপার টম ব্লান্ডেল। সফল হয়নি সেটিও। ইবাদত হোসেনের বল স্টাম্পে টেনে আনেন ব্লান্ডেল। সেটিই হয়ে থাকে দিনের শেষ বল।
৩ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করার পথে থাকা নিউ জিল্যান্ড শেষ বেলায় হারিয়ে ফেলে ওই দুটি উইকেট। টস জিতে বোলিং নিয়ে হতাশায় শেষ করার পথে থাকা বাংলাদেশ পেয়ে যায় আশার রসদ।
নিকোলস এখনও ক্রিজে আছেন। দ্বিতীয় দিন সকালে তার সঙ্গে যোগ দেবেন রাচিন রবীন্দ্র, এই টেস্টে স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেললেও তিনি বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানই। এছাড়া কাইল জেমিসন, টিম সাউদিও ব্যাট হাতে বেশ কার্যকর। বাংলাদেশের সামনে তাই চ্যালেঞ্জ এখনও আছে।
তবে প্রথম দিনের শেষবেলায় জোড়া ধাক্কায় নিউ জিল্যান্ডের পাশে চলে এসেছে বাংলাদেশ, দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এটি নিয়েই স্বস্তির কথা বললেন বোলিং কোচ গিবসন।
“লড়াই চালিয়ে গেছি আমরা… প্রথম ঘণ্টায় আমরা ছিলাম দুর্দান্ত। বেশ কবার পরাস্ত করেছি, সুযোগ সৃষ্টি করেছি। অন্য কোনো দিন হলে হয়তো আরও বেশি পেতাম (সুযোগ)। পরে ডেভন কনওয়ে খুব ভালো খেলেছে। তবে সব মিলিয়ে ৫ উইকেটে ২৫০ রান (২৫৮), এই অবস্থাকে আমার মনে হয় সমান-সমান।”