Published : 31 May 2025, 04:39 PM
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে ইতোমধ্যে মাঠেও ফিরেছেন কাগিসো রাবাদা; কিন্তু ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সামনের প্রতিকূলতা এখনও হয়তো শেষ হয়নি। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে শুনতে হতে পারে কটু কথা। এমনকি জাতীয় দলের সতীর্থদের কাছে পরিষ্কার করতে হবে পুরো বিষয়টা, পুনরায় অর্জন করতে হবে সম্মান। সবকিছুর জন্যই অবশ্য ‘নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন’ দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা পেসার।
গত ৩ এপ্রিল হুট করে আইপিএলে ছেড়ে দেশে ফিরে যান রাবাদা। তখন তার ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্স জানিয়েছিল, ‘ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ এক কারণে’ ফিরে গেছেন তিনি। কিন্তু তার পুনরায় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ওই সময় জানায়নি তারা।
পরে চলতি মাসের শুরুতে বেরিয়ে আসে আসল কারণ। রাবাদা নিজেই জানান, ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা পেয়ে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। এক মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আইপিএল দিয়েই পরে খেলায় ফেরেন ৩০ বছর ক্রিকেটার।
পুনরায় আইপিএলে ফিরে কেবল দুটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন রাবাদা। এরপর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে যোগ দিতে ভারত ছাড়তে হয়েছে তাকে। সব মিলিয়ে এবারের আইপিএলে চার ম্যাচ খেলে ২ উইকেট নিয়েছেন রাবাদা।
লর্ডসে আগামী ১১ জুন শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের ফাইনালে। যেখানে গত চক্রের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়বে প্রোটিয়ারা।
ম্যাচটি খেলতে এখন লন্ডনে আছেন রাবাদা। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার পর শনিবার প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তুলে ধরেন, সতীর্থদের কাছে সব কিছু খুলে বলার দায়বদ্ধতার কথা।
“আমার মনে হয়, তাদেরকে এটা (কী হয়েছে) জানাতে দায়বদ্ধ আমি, তারা আমার সতীর্থ। আমরা লম্বা সময় একসঙ্গে খেলেছি, আর কাছের মানুষদেরকে বিষয়টা আমার জানাতেই হবে।”
“দেখুন, এটা আদর্শ কোনো পরিস্থিতি নয়। আমার এখন খুব বেশি অভিনন্দন বা প্রশংসার প্রয়োজন নেই। আমি তাদের সঙ্গে যোগ দেব। ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং আমার মনে হয়, সামনে সময় নিয়ে এই বিষয়ে তাদেরকে আরও বিস্তারিত আমি জানাতে পারব।”
গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ টোয়েন্টি চলাকালীন ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হন রাবাদা। প্রাথমিকভাবে তাকে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। পরে সেটা কমিয়ে আনা হয় এক মাস।
ডোপ পজিটিভ হওয়ার পরের সময়টা কীভাবে সামলেছেন, তাও তুলে ধরেছেন রাবাদা।
“এই ঘটনায় আমার নিজেকে নিয়ে ভাবতে হয়েছিল, আমি খেলাটি থেকে কিছু সময় দূরে ছিলাম। আর এইসময় আমি সবচেয়ে বড় যে শিক্ষা পেয়েছি তার হলো, পছন্দের খেলাটি খেলতে পারার জন্য আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। আবার ক্রিকেট খেলতে পেরেই আমি খুশি…পুরো প্রক্রিয়াটি খুব ভালোভাবে সামলানো গেছে।”
“আইপিএল থেকে তখন দ্রুত ফেরার সিদ্ধান্তটি দারুণ ছিল, আর এই একটি সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি। আমি ওই পরিস্থিতিতে লড়াই চালিয়ে যেতে পারতাম, কিন্তু দেশে ফিরে যাওয়া ছিল সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত এবং ভালো মানুষের সঙ্গে ছিলাম।”
তবে সামনের সময়টা যে কঠিন কাটবে, ভালো করেনই জানেন রাবাদা। তবে সব পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখার আত্মবিশ্বাস আছে তার।
“আমার মনে হয়, খেলোয়াড় হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে, সবারই ভিন্ন মতামত থাকবে। আমি এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব।”