Published : 04 Jun 2025, 01:52 AM
লন্ডনের তীব্র যানজটে মাঠে পৌঁছাতে দেরি হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এতে পিছিয়ে গেল খেলা। কিন্তু দ্রুত উইকেট হারিয়ে তাদের চাপে পড়ে যেতে মোটেও সময় লাগল না। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে তারপরও ‘বড়’ সংগ্রহই গড়ল সফরকারীরা। কিন্তু ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজেই সেই রান তাড়া করে ক্যারবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করল ইংল্যান্ড।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। নতুন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের পথচলা শুরু হলো ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি নামলে ম্যাচ নেমে আসে ৪০ ওভারে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলটি ৯ উইকেটে করে ২৫১ রান। ৬২ বল বাকি থাকতেই ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে পাওয়া ২৪৬ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
দা ওভালে মঙ্গলবার ২৮ রানে দুই ওপেনারের সঙ্গে শেই হোপকে হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ছন্দে থাকা কেসি কার্টিকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন শেরফেন রাদারফোর্ড। কার্টিকে বোল্ড করে ৬২ রানের জুটি ভাঙেন আদিল রাশিদ।
এক প্রান্ত রাদারফোর্ড আগলে রাখলেও আরেক প্রান্তে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জাস্টিন গ্রিভস ফেরেন দ্রুত, হোপের মতো রোস্টন চেইসও পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।
দুই ছক্কা ও ৯ চারে ৭১ বলে ৭০ রান করে রাদারফোর্ডও ফিরে গেলে দুইশর নিচেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৫৪ রানে ৭ উইকেট হারানো দলকে আড়াইশ রানে নিয়ে যান গুডাকেশ মোটি ও আলজারি জোসেফ। অষ্টম উইকেটে দুই জনে পাল্টা আক্রমণে গড়েন ৯১ রানের জুটি।
২৯ বলে ৪১ রান করা আলজারিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিব মাহমুদ। ক্যারিয়ার সেরা ৬৩ রানের ইনিংস খেলে শেষ বলে বিদায় নেন মোটি। ওয়ানডেতে তার আগের সেরা ছিল অপরাজিত ৫০। তার ৫৪ বলের ইনিংস গড়া দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে।
৪০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার লেগ স্পিনার রাশিদ। দুটি করে উইকেট নেন সাকিব, ম্যাথু পটস ও ব্রাইডন কার্স।
রান তাড়ায় জেমি স্মিথের তাণ্ডবে ৭ ওভারেই ইংল্যান্ড করে ফেলে ৯৩ রান! ওভারের শেষ বলে মোটির বলে বোল্ড হয়ে থামেন স্মিথ। মাত্র ২৮ বলে তিন ছক্কা ও ১০ চারে তিনি করেন ৬৪ রান।
জো রুটের সঙ্গে পঞ্চাশ ছোঁয়া আরেকটি জুটি গড়ে ফেরেন বেন ডাকেট। বাঁহাতি এই ওপেনার ৪৬ বলে করেন ৫৮ রান।
মনে হচ্ছিল রুট ও ব্রুকের ব্যাটেই বাকি কাজটুকু সেরে ফেলবে ইংল্যান্ড। আলজারি জোসেফের বলে দারুণ ক্যাচে রুটকে ফেরান শামার জোসেফ।
ক্রিজে গিয়েই তাণ্ডব চালান জস বাটলার। ব্রুকের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটিতে তার অবদান ৪১, কেবল ২০ বলে। ৩০তম ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪০ ওভারে ২৫১/৯ (কিং ১৬, লুইস ৮, কার্টি ২৯, হোপ ০, রাদারফোর্ড ৭০, গ্রিভস ১২, চেইস ০, মোটি ৬৩, আলজারি জোসেফ ৪১, শামার জোসেফ ৩*; সাকিব ৮-০-৪৮-২, কার্স ৮-১-৫৭-২, পটস ৮-০-৫১-২, জ্যাকস ৬-০-৩৯-০, রাশিদ ৮-০-৪০-৩, বেথেল ২-০-১৪-০)
ইংল্যান্ড: (৪০ ওভারে লক্ষ্য ২৪৬) ২৯.৪ ওভারে ২৪৬/৩ (স্মিথ ৬৪, ডাকেট ৫৮, রুট ৪৪*, ব্রুক ২৬, বাটলার ৪১*; সিলস ৫.৪-০-৪৯-০, শামার জোসেফ ৪-০-৪৮-০, আফজারি জোসেফ ৭-০-৫২-১, মোটি ৮-০-৭৪-১, চেইস ৫-০-১৯-১)
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: জেমি স্মিথ
ম্যান অব দা সিরিজ: জো রুট